নতুন পরমাণু বোমা তৈরি করছে আমেরিকা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বোমার চেয়ে ২৪ গুণ বেশি শক্তিশালী
অ্যাটম বা পরমাণু বোমা কী?
(পারমাণবিক অস্ত্র হল একটি বিস্ফোরক যন্ত্র যা পারমাণবিক বিক্রিয়া যা ফিশন (Fission) অথবা ফিশন এবং ফিউশন (Fusion) (থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র) থেকে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হয়ে শক্তি অর্জন করে।
অর্থাৎ পরমাণু বা পারমাণবিক বোমা একটি পারমাণবিক অস্ত্র। এই শক্তি তার পরমাণুর নিউক্লিয়াসে সঞ্চালিত প্রতিক্রিয়া থেকে আসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, “পারমাণবিক বোমা” বলতে সাধারণত একটি বোমাকে বোঝানো হয় যা বিদারণের উপর নির্ভর করে, বা একটি ভারী নিউক্লিয়াসকে ছোট ইউনিটে বিভক্ত করে, শক্তি নির্গত করে।)
আবিষ্কারক
আমেরিকান বিজ্ঞানী রবার্ট ওপেনহেইমার ১৯৪৫ সালে পারমাণবিক বোমা আবিষ্কার করেন। ১৬ জুলাই, ১৯৪৫ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করে। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় প্রথম পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়। এবং তিন দিনের ব্যবধানে সেই সালেরই অর্থাৎ ১৯৪৫ সালের ৯ আগস্ট জাপানের নাগাশাকিতেও দ্বিতীয় পারমাণবিক বোমা হামলা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, বর্তমানে বিশ্বের ৯ টি দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক । অস্ত্রের সংখ্যার ভিত্তিতে তারা হল।
১. রাশিয়া
২. যুক্তরাষ্ট্র
৩. ফ্রান্স
৪. চীন
৫. যুক্তরাজ্য
৬.পাকিস্তান
৭. ভারত
৮. ইসরাইল
৯. উত্তর কোরিয়া
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র B61 পারমাণবিক মহাকর্ষ বোমার একটি আধুনিক সংস্করণ তৈরি করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছিল। ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেন্টাগন তার চেয়ে ২৪ গুণ বেশি শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে। যার নাম হবে B61-13 ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স (DoD) ঘোষণা করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র B61 পারমাণবিক বোমার একটি আধুনিক রূপ তৈরি করবে, যা কংগ্রেসের অনুমোদন এবং বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে।
ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি এর ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NNSA) B61-13 তৈরি করবে। অনুমোদিত হলে, বোমাটি আমেরিকার মোট পারমাণবিক অস্ত্রাগার বাড়ানোর পরিবর্তে বিদ্যমান মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রাগারে থাকা কিছু B61-7 বোমাতে প্রতিস্থাপন করবে। নিউজের মতে, একটি ফ্যাক্ট শিট তাদের দখলে এসেছে যা পরামর্শ দেয় যে B61-13 B61-7 এর মতো একই আউটপুট দেবে, যার সর্বোচ্চ আউটপুট ৩৬০ কিলোটন।
শক্তিশালী নতুন বোমাটি ‘B61-13 এর উন্নত নিরাপত্তা এবং নির্ভুলতা বৈশিষ্ট্যগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করবে’। যেখানে হিরোশিমায় যে বোমা ফেলা হয়েছিল তার ধারণক্ষমতা ছিল ১৫ কিলোটন। B61-13 হবে নাগাসাকিতে ফেলা বোমার থেকে প্রায় 14 গুণ বড়, যা ২৫ কিলোটন। মহাকাশ নীতির সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব জন প্লাম্ব বলেছেন: ‘ঘোষণাটি পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা পরিবেশ এবং সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রতিফলন।’
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের একটি দায়িত্ব রয়েছে যে আমাদের কৌশলগত আক্রমণের জবাব দিয়ে আমাদের মিত্রদের নিবৃত্ত করতে এবং আশ্বস্ত করার জন্য আমাদের কী সক্ষমতা রয়েছে তা মূল্যায়ন করা।”
B61-13 একটি অত্যন্ত গতিশীল নিরাপত্তা পরিবেশের চ্যালেঞ্জগুলি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে একটি যৌক্তিক পদক্ষেপের জানান দেয়।
যাইহোক, B61-13 উৎপাদন আমাদের পারমাণবিক মজুদের সামগ্রিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়াবে না। নতুন প্রজন্মের’ পরমাণু বোমা ‘বাজারে’ আনছে ওয়াশিংটন! আকারে খুবই ছোট। কিন্তু অনেক বেশি শক্তিশালী । হাইড্রোজেন বোমার প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক বোমা। আকারে ছোট। কিন্তু অনেক, অনেক শক্তিশালী. লক্ষ্যে আঘাত করার ক্ষেত্রে আরও নিখুঁত।
মাটির নিচে ছোট পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের প্রস্তুতি শুরু করেছে আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা মরুভূমিতে তার জন্য একটি টানেল খননের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে । এবার আকাশ থেকে সবকিছু ‘বুঝতে-শুনতে’ চক্কর দিতে শুরু করেছে মার্কিন যুদ্ধবিমান। মানে ‘কাউন্টডাউন’ শুরু হয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে আমেরিকা।
পেন্টাগন সূত্রে জানা গেছে, একেবারে নতুন প্যাকেজে এই অনেক বেশি শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা বাজারে আনছে আমেরিকা!
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পারমাণবিক বোমা আকারে অনেক ছোট। কিন্তু, তার লেজের দুই পাশে চারটি করে ডানা আছে। সেই নতুন মার্কিন পারমাণবিক বোমাটি বারো ফুট লম্বা নয়। কোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে তার উপর নির্ভর করে সেই পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরক শক্তি বাড়ানো বা কমানো যায়। মার্কিন পরমাণু অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই প্রথম পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরক শক্তি ‘রিমোট কন্ট্রোল’ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর ফলে বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমবে।
কেননা কয়েকদিন আগে উত্তর কোরিয়া পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ ঘটার পর তার আশেপাশে বড় আকারের ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.১।