যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতায় গত ছয় মাসেই প্রাণ হারিয়েছে ২০ হাজার
যুক্তরাষ্ট্র বন্দুক সহিংসতার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতি-সম্পন্ন দেশ। প্রতিদিন কেউ না কেউ বন্দুকের সহিংসতায় প্রাণ হারায়। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বন্দুক সহিংসতায় ২০০৩১ মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে বন্দুক ব্যবহার করে আত্মহত্যা করেছে ১১ হাজার ২৮৬ জন। মঙ্গলবার দেশটির গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বন্দুক সহিংসতার তথ্য রাখে এমন একটি সংস্থা গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, বছরের শুরু থেকে গত সোমবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৩১৮ টি গণ-গুলির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৭০৯ জনের বয়স ছিল ১৭ বছরের কম। এই বয়সীদের মধ্যে আহতের সংখ্যা ১ হাজার ৮৯৬ জন।
যে হামলায় অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন সে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।
তবে এই বিপুল সংখ্যক মৃত্যু শুধু বন্দুক হামলার কারণে নয়, বন্দুকের আত্মহত্যার কারণেও। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ অনুসারে, এই সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনাই ছিল আত্মহত্যা।
বিশ্বের জনসংখ্যার ৫ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করে, তবে বেসামরিক হাতে থাকা অস্ত্রের 46 শতাংশ মার্কিন নাগরিকদের হাতে রয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন অস্ত্র ও ম্যাস শ্যুটিং উভয় ক্ষেত্রেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বন্দুক সহিংসতা বন্ধে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দেশে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। মূলত, জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর বন্দুক সহিংসতা কমাতে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও দেশে বন্দুক সহিংসতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছেই । যুক্তরাষ্ট্র যেনো বন্দুক সহিংসতার দেশে পরিণত হয়েছে।
1 Comment