আবারো আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েলি বর্বর পুলিশ
প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ।
আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) ভোরে ফজরের নামাজের সময় তারা মসজিদে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১২ জন মুসল্লি আহত হয়েছেন। আরও ৪০০ মুসল্লিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ইসরায়েলি পুলিশ জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদ ও এর প্রাঙ্গণে কয়েক ডজন মুসল্লির ওপর হামলা চালায়। মধ্যরাতে হামলায় সাতজন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
তবে ইসরায়েলি পুলিশ দাবি করেছে, আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ‘দাঙ্গার’ জবাব দিতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশ রাবার-টিপড বুলেটে এবং মারধর করে সাত ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী চিকিৎসকদের মসজিদে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে।
মসজিদের বাইরে কান্নারত একজন বয়স্ক মহিলা বলেন, “আমি একটি চেয়ারে বসে (কুরআন) তেলাওয়াত করছিলাম।” এক পর্যায়ে তারা (ইসরায়েলি পুলিশ) স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে একটি গ্রেনেড আমার বুকে আঘাত করে। ‘
ইসরায়েলি পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে যে “মুখোশধারী বিক্ষোভকারীরা” আতশবাজি, লাঠি এবং পাথর নিয়ে মসজিদের ভিতরে নিজেদের অবস্থান করার পরে তাদের মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘পুলিশ মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করার পর তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় এবং মসজিদের ভেতর থেকে আতশবাজি নিক্ষেপ করা হয়। আহত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তাও। ‘
ফিলিস্তিন-অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরে কয়েক মাস ধরে উত্তেজনা চলছে। মাত্র কয়েকদিন আগে, ইসরায়েলি পুলিশ দিবালোকে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে এক ফিলিস্তিনি যুবককে গুলি করে হত্যা করে।