February 19, 2025
শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে পছন্দনীয় খাবার

শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে পছন্দনীয় খাবার

শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে পছন্দনীয় খাবার

শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে পছন্দনীয় খাবার

শিশুদের খুব ছোটবেলা থেকেই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন। কারণ এটি তাদের শরীরের পুষ্টি ও  স্মৃতিশক্তি আর মানসিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। খাবারে পুষ্টির অভাব থাকলে শিশুর মস্তিষ্ক সঠিকভাবে বিকশিত নাও হতে পারে অথবা স্মৃতিশক্তি সম্পূর্ণরূপে বিকশিত নাও হতে পারে।

ইউনিসেফ বলছে যে ৩ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের খাবারের প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তবেই তাদের শরীর, মন এবং স্মৃতিশক্তি সঠিকভাবে বিকশিত হবে। শিশুদের শিক্ষা এবং ভবিষ্যতের অগ্রগতির জন্য স্মৃতিশক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ছোটবেলা থেকেই তাদের খাবার সম্পর্কে সচেতন থাকুন। শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য কী খাওয়াবেন? জেনে নিন।

মানুষের স্মৃতিশক্তি শৈশব থেকেই বিকশিত হয়। এই কারণে, শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের খাবারে সর্বদা প্রোটিন, ডিএইচএ, ক্যালসিয়াম এবং খনিজ পদার্থের মতো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা তাদের স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে। এরকম কিছু খাবারের তালিকা নিচে দেওয়া হল,

ডিম

ডিম হল প্রোটিন, আয়রন, ফসফরাস এবং ফোলেট সমৃদ্ধ একটি খাবার, যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অপরিহার্য। ডিমে মেনকোলিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা শিশুদের মস্তিষ্কের সামগ্রিক বিকাশে সাহায্য করে।

শুকনো ফল

আখরোট, বাদাম এবং পেস্তার মতো শুকনো ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শিশুদের শুকনো ফল খাওয়ানোর নিয়ম হল সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খাওয়ানো।

দুধ

দুধ শিশুদের পুরো শরীরের বিকাশে সাহায্য করে। এটি হাড়কে শক্তিশালী করে এবং মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। দুধে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং আয়রন থাকে, যা শিশুদের শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখে।

কলা

কলা স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন সমৃদ্ধ। এটি শিশুদের শক্তি সরবরাহ এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর। এটি শিশুদের ওজনও বাড়ায়। তাই প্রতিদিন সকালে শিশুদের কলা দিতে ভুলবেন না।

ঘি

ঘি শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য একটি ভালো খাবার। ঘি শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি এবং মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে। তাই যখনই আপনি শিশুর খাবার রান্না করবেন, তখন এতে এক টেবিল চামচ ঘি যোগ করতে পারেন।

দই

দই এমন খাবার যাতে প্রচুর প্রোটিন থাকে। খাবারই মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করে। অনেক শিশুই দুধ খেতে পারেনা। সে ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন দইয়ের উপর। দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান লিভার সুস্থ রাখে ও শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।

ওটমিল

প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ওটমিল মস্তিষ্কের ধমনী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

আপেল

আপনি আপনার শিশুকে নিয়মিত আপেল খাওয়াতে পারেন। এই ফল মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।

৩. বাদাম

বাদামে থাকা ভিটামিন ই শিশুর মস্তিষ্কের সমন্বয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই, বাইরের খাবার না দিয়ে প্রতিদিন বিকেলে ৮ থেকে ১০টি বাদাম শিশুকে দেওয়া যেতে পারে

৪. মধু

মধু প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ একটি খাবার। ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের উপস্থিতির কারণে, এটি শিশুর হৃদয় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দুর্দান্ত কাজ করে।

৫. পালং শাক

শিশুর দুপুরের খাবারে নিয়মিত পালং শাক অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং বিটা ক্যারোটিন থাকে, যা শিশুর মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।

ডার্ক চকলেট

অধিকাংশ কোকো সহ যেকোনো ডার্ক চকলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্যাফেইন থাকে। এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এটি মাঝে মাঝে বা পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারের পরে অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। এটি শিশুদের মেজাজও উন্নত করবে।

অ্যাভোকাডো

অ্যাভোকাডো হল স্বাস্থ্যকর মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ একটি ফল। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খুবই কার্যকর। এটি সালাদের সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা টুকরো টুকরো করে খাওয়া যেতে পারে।

৬. মাছ

মাছ দ্রুত মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই শিশুর খাদ্যতালিকায় মাছকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। ভালো ফলাফলের জন্য সামুদ্রিক মাছ এবং এর তেল দেওয়া যেতে পারে।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X