November 23, 2024
আবারো খাদ্য সংকটের আশঙ্কা বিশ্বজুড়ে

আবারো খাদ্য সংকটের আশঙ্কা বিশ্বজুড়ে

আবারো খাদ্য সংকটের আশঙ্কা বিশ্বজুড়ে

আবারো খাদ্য সংকটের আশঙ্কা বিশ্বজুড়ে

খাদ্য সংকটের ঢোল পেটানো ২০২০ এর করোনা থেকেই শুরু হয়েছে ।  এবং এই সুবাদে অনুন্নত উন্নয়নশীল দেশগুলো ভালই ডামাডোল পিটিয়েছে তার মধ্যে আমাদের বাংলাদেশ অন্যতম ।  আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শুরু করেছেন এ  ঢোলের বাজনা আর সে  আওয়াজে  আরো বেশি গতি দিয়েছেন আমাদের দেশের সংসদে বসে যাওয়া মন্ত্রী এমপিরা ।  সেই গানই গেয়ে যাচ্ছে খোদ জাতিসংঘ,  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা,  বিশ্ব খাদ্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সহ বিশ্বের বড় বড় হত্যা কর্তারা ।  তারই  ধারাবাহিকতায় আজকের এই রিপোর্ট ।

ভারত হল বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জন্য একটি অপরিহার্য পণ্য চাল। ভারতই এই খাদ্যশস্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। ব্রিটিশ এর ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।

বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার জাতের ধান উৎপাদিত হলেও আমদানি-রপ্তানি হয় মাত্র চারটি জাতের। এর মধ্যে লং গ্রেইনের ইন্ডিকা চালের ব্যবসা সবচেয়ে বেশি। আর বাকিগুলো হলো সুগন্ধি বাসমতি, ছোট দানা জাপোনিকা, মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত আঠালো চাল। ২০ জুলাই ভারত বাসমতি ছাড়া অন্য সাদা চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে মার্কিন-কানাডায় ভারতীয় চালের ঘাটতি দেখা দেয়।

বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক ভারত, বিশ্বের মোট চাহিদার ৪০ শতাংশ সরবরাহ করে। অন্যান্য শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলি হল থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, শীর্ষ চাল আমদানিকারক দেশগুলো হলো চীন, ফিলিপাইন ও নাইজেরিয়া। আর অভ্যন্তরীণ বাজারে যখন ঘাটতি থাকে তখন ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশও  চাল আমদানি করে। এখন আফ্রিকা মহাদেশেও এর চাহিদা বাড়ছে। কিউবা এবং পানামার শক্তির প্রধান উৎসও চাল।

গত বছর, ভারত ১৪০ টি দেশে ২২ মিলিয়ন টন চাল রপ্তানি করেছে। ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী চাল আমদানি ও রপ্তানির ৭০ শতাংশ ইন্ডিকা চালের জন্য দায়ী ছিল এবং এখন ভারত সেই চাল রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। জুলাই মাসে চাল রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা বিশ্বব্যাপী আতঙ্কের সৃষ্টি করে। আইএমএফ অর্থনীতিবিদ পিয়েরে-অলিভার গোরিঞ্চাস বলেছেন যে নিষেধাজ্ঞা চালের দাম বাড়িয়ে দেবে এবং বিশ্বব্যাপী শস্যের দাম ১৫ শতাংশের বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে। এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাজার বিশ্লেষক সিরলে মুস্তাফা বলেছেন, “সময় ভালো না  হওয়ায় ভারত চালের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।”

প্রথমত, ২০২২ সালের শুরু থেকে চালের দাম বাড়ছে। গত জুন থেকে তা ১৪ শতাংশ বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, চালের সরবরাহ এখন ব্যাহত, বাজারে নতুন চাল আসতে তিন মাস বাকি। দক্ষিণ এশিয়ার অস্বাভাবিক আবহাওয়া – ভারতে ভারী বর্ষণ এবং পাকিস্তানে বন্যা – চালের সরবরাহ ব্যাহত করেছে। এ ছাড়া সারের দাম বাড়ায় চালের দামও বেড়েছে। অন্যদিকে চাল আমদানিকারক দেশগুলো তাদের মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে আমদানি বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণে এ ব্যবসার ব্যয়ও বেড়েছে।

জাতিসংঘের বাজার বিশ্লেষক মোস্তফা বলেন, আমরা এমন পরিস্থিতিতে আছি যেখানে আমদানিকারকরা আটকে আছেন। এই আমদানিকারকরা দাম বাড়ার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

ভারতের নিজস্ব ৪১ মিলিয়ন টন চালের মজুদ রয়েছে। যা প্রয়োজনের প্রায় ৩ গুণ। অনেকে মনে করেন, ভারতের চাল রপ্তানি বন্ধ করা উচিত নয়। কারণ এই নিষেধাজ্ঞা বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। খাদ্য সংস্থা আইএফআরআই অনুসারে, বিশ্বের ৪২ টি দেশ তাদের অর্ধেক চাল ভারত থেকে আমদানি করে। আফ্রিকার কিছু দেশ আছে যারা তাদের মোট আমদানির ৮০ শতাংশই এই এশিয়ান দেশ থেকে পায়।

আরও জানতে

ভদ্র মহিলা দিনে ৭০ লক্ষ টাকা কেনাকাটা করেন নাম তার সৌদি

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে খাদ্যপণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা নতুন নয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইন্দোনেশিয়া পাম তেল, আর্জেন্টিনার মাংস, তুরস্কের শস্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু ভারতের চাল রপ্তানির ঘটনা ভিন্ন। বিশ্বে এর বড় প্রভাব পড়বে। কারণ অনেক দেশ তাদের রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। তারা আরও বলেছে যে এই আকস্মিক নিষেধাজ্ঞা খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে এবং বিশ্বে ভারতের সুনামকেও কলঙ্কিত করবে। কারণ বিশ্ব তখন “ভারতকে নির্ভরযোগ্য চাল রপ্তানিকারক হিসাবে বিবেচনা করবে না।”

নোংরা রাজনীতি, সিন্ডিকেট , ক্ষমতার অপব্যবহার , ক্ষমতা ধরে রাখার অপচেষ্টা এসব থেকে ফিরে ।  মানুষের গণতন্ত্র ,  ধর্মীয় মনোভাব এবং সুষ্ঠু প্রতিনিধি বাছাইয়ের সুষ্ঠু পদ্ধতি,  জনবল নিয়োগে মেধার মূল্যায়ন ।  এবং যথাসময়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণসহ  সকল ক্ষেত্রেও অপচয় রোধ করতে পারলে খাদ্য সংকট পৃথিবীতে একদিন এমনকি এক সেকেন্ডের জন্য আসবে না ।

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X