পুতিন-জেলেনস্কিকে আলোচনার টেবিলে আনার চেষ্টা করছেন তুর্কি: এরদোগান
রাশিয়া ও ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে এনে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চায় তুরস্ক।
বুধবার দেশটির রাজধানী আঙ্কারায় হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট কাতালিন নোভাকের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এসব কথা বলেন।
এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, তুরস্ক কিয়েভ ও মস্কোর সঙ্গে টেবিল বৈঠকের মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করছে।
এদিকে কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তিতে তুরস্কের ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নোভাক। কারণ তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
শান্তির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে তিনি আরো বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সহিংসতা ও উত্তেজনা যাতে না বাড়ে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উভয় পক্ষকে কূটনীতির মাধ্যমে টেবিলে বসতে হবে।
নোভাক বলেন, “একজন হাঙ্গেরিয়ান হিসাবে, আমি জোর দিতে চাই – আমরা আমাদের বন্ধু তুরস্কের পাশে আছি,” তিনি বলেন, তার দেশ ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়াদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে।
নোভাক আরও বলেন, । একটি গির্জা এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পুনরুদ্ধার করতে আমরা চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে এসেছি
তিনি আশা করেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তুর্কি পুনর্গঠিত হবে। তিনি মনে করেন, ‘পুনর্গঠনের জন্য শক্তিশালী নেতা প্রয়োজন’।
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে নোভাক বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে তার দেশের সীমান্ত রয়েছে। তাই সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাঙ্গেরি।
তিনি বলেন, আমরা পুতিনের আগ্রাসনের নিন্দা জানাই এবং ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সমর্থন করি।
নোভাক অবৈধ অভিবাসন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তুরস্কের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন- অবৈধ অভিবাসন একটি হুমকি।
এর পূর্বে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এক অনুষ্ঠানে নোভাককে স্বাগত জানান এরদোগান।
পরে তারা রাষ্ট্রপতি কমপ্লেক্সে আলোচনা করেন। দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বাড়াতে যৌথ পদক্ষেপ নিয়েও মতবিনিময় করেন।