November 9, 2024
মহিমান্বিত পবিত্র শবেমেরাজ আজ

মহিমান্বিত পবিত্র শবেমেরাজ আজ

মহিমান্বিত পবিত্র শবে মেরাজ আজ

মহিমান্বিত পবিত্র শবেমেরাজ আজ

মেরাজের প্রধান তাৎপর্যগুলো নিম্নরূপ

  • বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান দ্বারা মেরাজ প্রমাণিত
  • শুধুমাত্র এবং একমাত্র সশরীরে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই সর্বোচ্চ উচ্চস্থানে গিয়েছিলেন, যেখানে আল্লাহ ছাড়া পৃথিবীর কেউ অনুমদিত নয় ।
  • একমাত্র এবাদত নামাজকে গিয়ে নিয়ে আসেন, আর অন্য সবগুলো এবাদতই আল্লাহ প্রদত্ত দিয়ে দেওয়া এবাদত।
  • সত্যি সত্যিই তিনি বেহেশত এবং দোজখ দেখে আসেন যেটা অন্য কোন মানুষ ধারা কখনো সম্ভব নয়।
  • এবং তিনি যে, সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মেরাজও তার একটি অন্যতম দলিল ।
  • এবং সমস্ত মানবকুলের মধ্যে  আল্লাহর কাছে সরাসরি শুধুমাত্র একজনই মেহমান হিসেবে দাওয়াত পেয়েছিলেন,  আর  তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

মানবতার মুক্তির দূত, সাইয়্যেদুল মুরসালিন, রাহমাতুল্লিল আলামিন, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা.এর নবুওয়তি জিন্দেগিতে যে সব অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল তন্মধ্যে মেরাজের ঘটনা অন্যতম।

পবিত্র শবেমেরাজ আজ। ফারসিতে শব শব্দের অর্থ রাত এবং আরবিতে মেরাজের অর্থ ঊর্ধ্ব গমন।

রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দিনটি ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অলৌকিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার চিহ্ন দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে।

এ প্রসঙ্গে আল কুরআনের সুরা বনি ইসরাইলের শুরুতেই বলা হয়েছে, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করালেন, যার চতুর্দিকে আমার রহমত ঘিরে রেখেছে-যেন আমি কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই।

এই রাতে মহানবী (সা.) সাত আসমান পেরিয়ে মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে ফেরে আসেন। অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহিমান্বিত রাতটি ইবাদতে কাটিয়ে থাকেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে এ রাতে তাঁরা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগি পালন করবেন।

নবুয়তের ১১তম বছর (৬২১ খ্রিস্টাব্দ) হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য দুঃখ ও শোকের বছর ছিল। এ সময় তিনি তাঁর কঠিন সময়ের দুজন প্রিয় ব্যক্তি স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও চাচা আবু তালেবকে হারিয়েছেন। তা ছাড়া ইসলামের দাওয়াত নিয়ে তায়েফ গেলে সেখান থেকেও কষ্ট পেয়ে ফেরেন। এরপর মহান আল্লাহ ইসরা ও মেরাজের মাধ্যমে প্রিয় রাসুলকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেন। সেদিন রাতে মহানবী (সা.) মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে বোরাক নামক বিশেষ বাহনে করে ফিলিস্তিনের  বাইতুল মুকাদ্দাসে যান। সেখানে নবী-রাসুলদের সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে তিনি সাত আসমান অতিক্রম করেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন নবীর দেখা হয়। সিদরাতুল মুনতাহার আগ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ছিলেন জিবরাইল (আ.) । এরপর মহানবী (সা.) জান্নাত, জাহান্নাম, আরশসহ সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন। ফেরার সময় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি নিজ উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উপহার নিয়ে আসেন।

মহান আল্লাহর নির্দেশে ২৬ রজব দিবাগত রাতে ঊর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করেন মহানবী হজরত মোহাম্মদ (স.) । এ বছর সেই রাতটি পড়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ।

রজব হিজরি সনের বিশেষ ও মহিমান্বিত একটি মাস। কারন এ মাস রমজানের আগমনী বার্তা দিয়ে থাকে। তাই রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতে হয়।  এ মাসের বড় বৈশিষ্ট্য হলো—এ মাস আল্লাহ প্রদত্ত চারটি সম্মানিত মাসের (আশহুরে হুরুমের) একটি।

লেখক, আহমাদুল্লাহ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X