নিউইয়র্কে ২০ লাখ বাড়ির ‘বেসমেন্টে’ বৈধভাবে বসবাসের ঘোষণা
নিউ ইয়র্ক শহরের প্রায় ২০ লাখ বাড়ির ভূগর্ভস্থ কক্ষে এখন থেকে মানুষ বসবাস করতে পারবেন। নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অধিকাংশ বাড়ির ভূগর্ভস্থ কক্ষে বসবাসের অনুমতি মিলত না বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসীরা লুকোচুরি করেই ভূগর্ভস্থ কক্ষে বসবাস করতেন। গত বুধবার আলবেনিতে গর্ভনর ক্যাথি হোকুল ‘স্টেট অফ দ্যা স্টেট’ ভাষণে শহরের ২০ লাখ বাড়ির ভূগর্ভস্থ ঘরে মানুষের বসবাসের বৈধতা ঘোষণা করেন।
গর্ভনরের এ ঘোষণায় বিদেশিদের পাশাপাশি উপকৃত হবেন হাজার হাজার বাংলাদেশী। গর্ভনর ক্যাথি হচুল বলেন, নিউইয়র্ক সিটির বাড়িগুলোর ভূগর্ভস্থ ঘরে এখন বসবাসের জন্য অবৈধ। এ সব বাড়িগুলোকে অন্ধকার থেকে বের করে আনতে হবে। যাতে বাড়িওয়ালা লাভবান হবে এবং সিটিরও নিয়ন্ত্রণা থাকবে। ভূগর্ভস্থ কক্ষে বসবাসের বৈধতা প্রদানের প্রস্তাবকে তিনি ‘স্টেট অফ দ্য বুক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাসাবাড়ির ভূগর্ভস্থ কক্ষগুলোকে সিটির হেলথ এন্ড সেফটির অর্ন্তভূক্ত হতে হবে। স্থানীয় আইননের আওতায় ভূগর্ভস্থ ঘরগুলোকে এমনেস্টি দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে স্টেট ৮৫ মিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ রেখেছে। বাড়ির মালিকরা তাদের ভূগর্ভস্থ কক্ষগুলোকে আধুনিক ও নিরাপদ করতে এ অর্থ থেকে সহায়তা পাবেন। গর্ভনর ক্যাথি হোকুল ভাষণে আরও বলেছেন, সিটি ও স্টেটের হাউজিং ডেভেলপমেন্টকে প্রাধান্য দিয়ে গ্রাউন্ডব্রেকিং নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে। বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার লাল ফিতার দৌরাত্ম দূর করা হবে। আগামী ১০ বছরে ৮ লাখ নতুন বাড়ি তৈরি করা হবে।
নিউইয়র্ক সিটিতে বসবাসের যোগ্য বাড়ি রয়েছে ৩৫ লাখ। এরমধ্যে ১৩ লাখ ডিটাচড, ৮ লাখ এটাচড ও ৪ লাখের মতো ২ ইউনিটের বাড়ি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে মাল্টি স্টোরেজ এপার্টমেন্ট, মোবাইল ও বোট হোম। এসব অধিকাংশ বাড়িতেই রয়েছে বেজমেন্ট। তার সংখ্যাও ২০ লাখের কাছাকাছি।
এদিকে এশিয়ান আমেরিকান ফেডারেশনের তথ্যানুযায়ী নিউ ইয়র্কে শহরে প্রায় ৭০ হাজার বাংলাদেশি বসবাদ করেছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৪৭ শতাংশ বাংলাদেশী ৩২ হাজার বাড়ির মালিক রয়েছেন।