November 22, 2024
হোটেলে ঘুমালে পা থাকবে এক দেশে আর মাথা অন্য দেশে

হোটেলে ঘুমালে পা থাকবে এক দেশে আর মাথা অন্য দেশে

হোটেলে ঘুমালে পা থাকবে এক দেশে আর মাথা অন্য দেশে

হোটেলে ঘুমালে পা থাকবে এক দেশে আর মাথা অন্য দেশে

হোটেল আরবেজ ফ্রাঙ্কো-সুইচ। হোটেলের অর্ধেক ফ্রান্সে এবং বাকি অর্ধেক সুইজারল্যান্ডে, ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ডের মধ্যকার আন্তর্জাতিক সীমান্তে। ইউরোপের এই ছোট্ট হোটেলটি সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এখানে আপনি একই সময়ে দুটি ভিন্ন দেশে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা পাবেন।

পৃথিবীতে এমন অনেক সীমান্ত এলাকা আছে যেখানে দুই দেশের মানুষ একসাথে বসবাস করে। এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে মানুষ এক দেশে কাজ করতে যায় এবং অন্য দেশে ঘুমায়। এমন কিছু ঘটনাও রয়েছে যেখানে রান্নাঘর এক দেশে এবং শয়নকক্ষ অন্য দেশে। কিন্তু একসঙ্গে দু’দেশে থাকার অভিজ্ঞতা দেবে বিশ্বে হোটেল আরবেজ ছাড়া দ্বিতীয়টি আছে বলে কারও জানা নেই।

একটি ছোট্ট পরিবার এই হোটেলটির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। তবে, এই হোটেলের পেছনে ১৮৬২ সালের ইতিহাস রয়েছে। ড্যাপেসের চুক্তির কারণে এই হোটেল তৈরি করা হয়। ওই চুক্তি অনুসারে, নিকটবর্তী রাস্তায় ফরাসি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটা ছোট অঞ্চল অদলবদল করতে সম্মত হয়েছিল ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ড। চুক্তি অনুসারে, ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড সীমান্তে যে কোনো ভবন অক্ষত রাখার জন্যও নিয়ম জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এই হোটেলটি আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

হোটেল আরবেজ ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ডের সীমান্তে লা কোউর নামে একটি ছোট গ্রামে অবস্থিত। এটি ১৯২১ সালে খোলা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও এই হোটেলটি একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। ফ্রান্সে জার্মান দখলের সময় ফরাসিরা হোটেলের সুইস অংশে আশ্রয় নিয়েছিল।

হোটেলের ডানদিকে সুইজারল্যান্ড এবং বামে ফ্রান্স। ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড সীমান্ত হোটেলটির রুমের বিছানা দুই দেশে বিস্তৃত । কোনো ব্যক্তি ওই নির্দিষ্ট ঘরে ঘুমাতে গেলে তার মাথা থাকবে সুইজারল্যান্ডে এবং পা থাকবে ফ্রান্সে।

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X