জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় হিজড়াসহ গ্রেপ্তার ৫, উদ্ধার ৪ কিশোরী
চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে এক হিজড়াসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় চার কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার ইসহাক ডিপো টোল প্লাজার বাইপাস রোডের কাছে এক হিজড়ার ভাসমান বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার ভাগুরাপাড়ার কোরবান আলীর ছেলে শ্রাবন্তী হিজড়া (৩৪), গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার শিমুলতলী এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে আমির হোসেন (৩৫), চর রমেশের সিধু মাঝির ছেলে জামাল (৫২)। ভোলা জেলার সদর থানার এলাকা, ভোলার সদর থানার আনন্দবাজার। ভেলু মিয়া এলাকার ইয়াছিন বেপারীর মেয়ে মিতু আক্তার কাজল (১৯) ও একই জেলার চররামেশ এলাকার মৃত বশির আহমদের ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫)।
ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে অসহায় মেয়েদের নিয়ে তাদের অসহায়ত্ব ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে চাকরি ও লালন-পালন করত। পরে পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত হওয়ার জন্য তাদের যৌন নির্যাতন করা হয়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলে ইসহাক ডিপো টোল প্লাজা সংলগ্ন বাইপাস সড়কের পাশে শ্রাবন্তী হিজড়ার একটি ভাসমান বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে চাইলে শ্রাবন্তী হিজড়াসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। তবে নাঈম (২৫) নামে তাদের এক সহযোগী পালিয়ে যায় । এছাড়া ওই বাড়ি থেকে চার কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত ভুক্তভোগীরা জানায়, চট্টগ্রাম নগরীর রেলস্টেশন, টাইগারপাস এলাকা থেকে শ্রাবন্তী হিজড়া তাদের ওই কক্ষে নিয়ে এসে মারধর করত। এমনকি তারা তাদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে, তারপর খদ্দেরদের কাছ থেকে টাকা নেয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ব্যক্তি পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।