ডাঃ ইসমত জাহান ৮ বছরে ১০,০০০ নরমাল ডেলিভারি করেছেন
চা বাগান ও হাওর পাড়ের দরিদ্র ও দিনমজুর পরিবারের গর্ভবতী মায়েদের প্রসূতি সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের গাইনোকোলজিস্ট ডাঃ ইসমত জাহান। ইতিমধ্যে তিনি মৌলভীবাজারে প্রায় ১০ হাজার মায়ের নরমাল ডেলিভারি করেছেন। তাদের অধিকাংশই চা বাগান ও হাওর পাড়ের দরিদ্র ও দিনমজুর পরিবারের মা।
জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে ডাঃ ইসমত জাহান ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগদান করেন। তার আন্তরিকতায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে। স্বাভাবিক প্রসবের মধ্যে অধিকাংশ চা শ্রমিক ও হাওয়ার পাড়ের দরিদ্র পরিবারের । এছাড়াও, এই হাসপাতালের আরেকজন গাইনোকোলজিস্ট ডাঃ ফারজানা হক , যিনিও শ্রমজীবী মায়েদের স্বাভাবিক প্রসবের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।
ডাঃ ইসমত জাহান বলেন, একজন মায়ের আগে দুইবার সিজারিয়ান হলেও ৩য় বারে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করেছেন। একই অবস্থা অন্য একজন মায়েরও ঘটেছে যার আগে ১টি সিজারিয়ান হয়েছিল কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি এবং এই বারে স্বাভাবিক প্রসব করেছি। এতে উভয় পরিবারের সদস্যরা খুবই খুশি।
মৌলভীবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “প্রসূতি মায়েদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমরা প্রতিদিন অনেক গাইনোকোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু ডাঃ ইসমত জাহানের মতো আন্তরিক ও নম্র চিকিৎসক খুব কমই পেয়েছি। তিনি সবসময় স্বাভাবিক প্রসবের জন্য চেষ্টা করেন। চিকিৎসা করেন। বিশেষ করে আন্তরিকতার সাথে দরিদ্র রোগীদের ।
ডাঃ ইসমত জাহান আরো বলেন, আমি আমার নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করি। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, ডাঃ ইসমত জাহান সহ আমাদের হাসপাতালের সকল গাইনী বিশেষজ্ঞ তাদের দায়িত্ব আন্তরিকতার সাথে পালন করেন। কিন্তু ডাঃ ইসমত জাহান ব্যতিক্রমী কিছু করার চেষ্টা করেন।