ছয় বছরে ৬০০ শিশুকে অপহরণ করেছে চক্রটি
স্কুল, মার্কেট, রেস্তোরাঁ সহ বিভিন্ন জায়গায় একা থাকা এবং তাদের পিতামাতার সাথে ভ্রমণকারী শিশুদের লক্ষ্য করে অত্যাধুনিক অপহরণের একটি চক্র। শিশু অপহরণকারী এই সংঘবদ্ধ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার গাজীপুরের সালনা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা মূল হোতা। মিল্টন মাসুদ (৪৫), মোঃ শাহিনুর রহমান (৩৮) ও সুফিয়া বেগম (৪৮)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে অপহরণে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন ও ৫টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (৬ মে) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোরশেদ আলম এ তথ্য জানান।
এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত ২৪ মার্চ রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে হলি ল্যাবের সামনে থেকে ৬ বছরের শিশু শাহীন শেখ নিখোঁজ হলে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি জিডি করা হয়। তদন্তের ভিত্তিতে প্রথমে অপহরণকারী চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি শনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে ৩ জনকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে
উত্তরা বিভাগের ডিসি মোরশেদ আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল, মার্কেট, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন স্থানে একাকী এবং অভিভাবকদের সঙ্গে চলাফেরা করা শিশুদের টার্গেট করে অপহরণ করত। বিকাশ নগদ টাকাসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চক্রের কর্তা মো. মিল্টন মাসুদ ও তার সহকর্মীরা ৬ থেকে ৭ বছরের ৫০০ থেকে ৬০০ শিশুকে অপহরণ করে স্বজনদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নেন।
তিনি আরও বলেন, টার্গেট শিশু নিজেকে তার বাবা-মায়ের বন্ধু বা ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে পরিচয় দিয়ে । তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার ও কথা বলে বাবা-মায়ের আর্থিক অবস্থা জানতেন। এরপর সে শিশুটির অভিভাবকদের ফোন নম্বর দিয়ে ফোন করে তাকে অপহরণ করে টাকা দাবি করে।
উত্তরা বিমানবন্দর জোনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সাধারণত তারা ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করতেন । অভিভাবকরা ভয় পেয়ে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অপহরণকারীদের টাকা দিতেন