বান্দরবানে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ৮ জন নিহত
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার খতমপাড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার খমতম পাড়া থেকে আটজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে রুমা-রোয়াংছড়ি সড়কের খাতামপাড়া এলাকায় দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটজনের লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। বম সম্প্রদায়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বীকার করেছে যে নিহতদের মধ্যে সাতজন বম সম্প্রদায়ের সদস্য। তারা হলেন ভান্দু বুম (৩৫), সাংখুম বুম (৪৫), সানফির থাং বুম (২২), বয় রেম বুম (১৭), জাহিম বুম (৪০), লাল লিয়ান নাং বুম (৪৪) এবং লালথা জার বুম (২৭)।
আশপাশের আতঙ্কিত বাসিন্দারা জানান, “খন্তম পাড়াটি রোয়ানছড়ি ও রুমা উপজেলার মধ্যবর্তী একটি এলাকা। বৃহস্পতিবার রাতে এবং আজ সকালে আশপাশের পাহাড়ে বিকট গোলাগুলির শব্দ হয়। কারা গুলি করেছে তা আমি জানি না। তবে আমরা গ্রাম থেকে পালিয়ে এসেছি। প্রতিবেশীদের ভয়ে রোয়াংছড়ি সদরের স্কুলে আশ্রয় নেয়।ঘটনাস্থল থেকে আটজনের মরদেহ পাওয়া যায়।তাদের পরনে ছিল জলপাই রঙের পোশাক।
রাউয়ানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে আটজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর আতঙ্কে স্থানীয় অনেক বাসিন্দা পালিয়ে রোয়াংছড়িতে অবস্থান করে। তাদের খাওয়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাওয়াংছড়ি উপজেলার খতমপাড়ায় কয়েকজনের লাশ পড়ে আছে বলে খবর পাই। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠাই। আমি যতদূর জানি, দুই সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে এ ঘটনা ঘটে। । আমাদের অনুসন্ধান চলছে।