‘বর্ডার সাইড অ্যানিমেল ডিটেক্টর’ আবিষ্কারে তিন ক্ষুদে শিক্ষার্থীর চমক!
খুদে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার সত্যিই মনমুগ্ধকর। সেই টমাস আলভা এডিশন থেকে শুরু করে অদ্যবধি পর্যন্ত খুদে বিজ্ঞানীরা, খুদে শিক্ষার্থীরাই পৃথিবীকে গড়ার অঙ্গীকারে বহুদূর এগিয়েছে। তাদের সহযোগিতা করা, তাদেরকে মমতায় বেঁধে রাখা, তাদেরকে বড় আবিষ্কারের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া, এবং উৎসাহ প্রদান করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয় সমাজের দেশের সকল মানুষের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দিন এবং তাদেরকে সৎ থাকতে দিন। তাহলে দেশ ও জাতির উন্নয়ন কেউ ঠেকাতে পারবে না। দেশ হবে শতভাগ আত্মনির্ভরশীল ।
ভোলার লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি ‘বর্ডার সাইড অ্যানিমেল ডিটেক্টর’ তৈরি করে তাকলাগানো ডিভাইস সত্যিই মুগ্ধ করেছে। গতকাল সকালে লালমোহন উপজেলা পরিষদ চত্বরে ডিজিটাল উদ্ভাবন মেলায় তাদের উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়।
লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সোয়াব হোসেন সোহান, মোহাম্মদ জুবায়ের ও দীপ নন্দী মাত্র একদিনের প্রচেষ্টায় নতুন এই প্রযুক্তি তৈরি করতে পেরেছেন। তাদের উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিতে আরডুইনো কার্ড এবং পিআরআই সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। যা দেশের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ ও পাচার হলে নিকটবর্তী বিজিবি ক্যাম্পে সংকেত দেবে। যার মাধ্যমে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক থাকতে পারবেন।
এই বর্ডার সাইড অ্যানিমেল ডিটেক্টর ব্যাটারি চালিত। উদ্ভাবক শিক্ষার্থী সোয়াব হোসেন সোহান জানান, সরকারি সহযোগিতায় নামমাত্র মূল্যে বিজিবির কাজের জন্য এই বর্ডার সাইড অ্যানিমেল ডিটেক্টরটিকে পুরোপুরি উপযোগী করে তোলা সম্ভব হবে। যার মাধ্যমে বিজিবি খুব সহজেই সীমান্ত অপরাধ দমনে কাজ করতে পারবে। এই ডিভাইসটি নির্দিষ্ট অবস্থান থেকে 7 থেকে 8 মিটার পর্যন্ত কাজ করবে। যার একটির দাম প্রায় দেড় হাজার টাকা, তবে একসঙ্গে অনেকগুলো তৈরি করলে দাম পড়বে মাত্র দুই থেকে আড়াই টাকা।
লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও অনুষ্ঠিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল উদ্ভাবন মেলা উপলক্ষে বেশ কিছু স্টল স্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিটি ব্যতিক্রম। এটিকে পূর্ণাঙ্গভাবে গড়ে তুলতে পারলে বিজিবি ব্যবহার করে বাংলাদেশ লাভবান হবে, দেশ লাভবান হবে। সরকারী সহায়তা প্রদান ছাত্রদের চিন্তা আরো প্রকাশ করবে. যাতে দেশের সম্পদ তৈরি হয়।
উক্ত আয়োজনে সকালে লালমোহনে উপজেলা প্রশাসনের এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় ডিজিটাল উদ্ভাবন মেলা উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বেশ কিছু স্টল রয়েছে। ডিজিটাল উদ্ভাবন মেলার আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইমরান মাহমুদ ডালিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান রিমন, ওসি মাহাবুবুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
হ্যাঁ, ছোট বড় সকল আবিষ্কার কে মূল্য দিতে আমাদের কিছু শিখতে হবে এবং দেশের পক্ষ থেকে তাদেরকে নিয়ে বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করতে হবে, তাহলেই আমাদের থেকে বের হবে কুদরত-ই-খুদা, আল জাবের ,জাবির ইবনে হাইয়ান , আইনস্টাইন , টমাস আলভা এডিসন আর নিউটনের মত বড় বড় বিজ্ঞানী।
1 Comment