December 18, 2024
আদানির বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে আমদানি কমেছে এক তৃতীয়াংশ

আদানির বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে আমদানি কমেছে এক তৃতীয়াংশ

আদানির বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে আমদানি কমেছে এক তৃতীয়াংশ

আদানির বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে আমদানি কমেছে এক তৃতীয়াংশ

ভারতের ঝাড়খন্ডে গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি পাওয়ার থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানি নভেম্বরে প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমেছে। ঝাড়খন্ডের গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বকেয়া নিয়ে বিরোধকে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি পাওয়ার থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানি নভেম্বরে প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমেছে, ভারতীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, মঙ্গলবার রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, বকেয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে আদানি গত মাসে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খন্ডের ১,৬০০ মেগাওয়াট-এর গাড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

আদানি পাওয়ার ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সাথে ২৫ বছরের বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর করে। আদানির গাড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ রপ্তানি হয় তা দেশের মোট বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ।

বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ সম্প্রতি আদানিকে তার বিদ্যুৎ সরবরাহের দাম পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে। দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী অন্য সব পাওয়ার প্লান্টের মধ্যে আদানির বিদ্যুতের দাম সবচেয়ে বেশি। আর আদানি বাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভারতের কাছে বিক্রি করতে ছাড় চায়

আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের আগে ১২ মাসে আদানি পাওয়ারের গোড্ডা প্ল্যান্ট বাংলাদেশের মোট বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় ৯ শতাংশ সরবরাহ করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করতে বাধ্য।

ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক দ্বারা গঠিত একটি আঞ্চলিক বিদ্যুৎ কমিটির তথ্য অনুসারে, গোড্ডা প্ল্যান্টটি নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে ৪৫০ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ রপ্তানি করেছে। এটি বার্ষিক পরিসংখ্যান থেকে ৩২.৮ শতাংশ কম।

ভারতের ইস্টার্ন রিজিওনাল পাওয়ার কমিটির তথ্য অনুযায়ী, আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানিতে এটাই সবচেয়ে বড় মাসিক পতন। আদানি থেকে বাংলাদেশের মাসিক বিদ্যুৎ আমদানি গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিল।

শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের ব্যবহার ও চাহিদা কম থাকলেও বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। আদানি থেকে আমদানি কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ তার বার্ষিক বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে ঝুঁকছে।

বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের ব্যবহার নভেম্বরে ৪৭.৮ শতাংশ বেড়েছে, যা টানা ২১ মাস পতনের পর টানা তৃতীয় মাস বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, টানা পাঁচ মাস পতনের পর নভেম্বরে প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে টানা তৃতীয় মাসে কমেছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন।

আরো পড়তে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X