November 15, 2024
ইরানে হামলা চালাতে পারবে না ইসরাইল: সৌদি ক্রাউন প্রিন্স

ইরানে হামলা চালাতে পারবে না ইসরাইল: সৌদি ক্রাউন প্রিন্স

ইরানে হামলা চালাতে পারবে না ইসরাইল: সৌদি ক্রাউন প্রিন্স

ইরানে হামলা চালাতে পারবে না ইসরাইল: সৌদি ক্রাউন প্রিন্স

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ইসরাইলকে অবশ্যই ইরানের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে হবে। ইসরাইল অবশ্যই ইরানের ভূখণ্ডে হামলা করতে পারবে না। সোমবার (১১ নভেম্বর) রিয়াদে অনুষ্ঠিত আরব লীগ ও অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) যৌথ সম্মেলনে মোহাম্মদ বিন সালমান এসব কথা বলেন। ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজা ও লেবাননে যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে তা মোকাবেলায় এই সম্মেলন ডাকা হয়েছে।

সম্মেলনে তার বক্তব্যে সৌদি যুবরাজ গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের নিন্দা করেন। ইসরায়েলি বাহিনী উপত্যকায় “গণহত্যা” চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গাজা ও লেবাননে আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।”

সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু, লেবাননের প্রেসিডেন্ট নাজিব মিকাতিসহ আরব লীগ ও ওআইসি সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না। যুবরাজ সালমানের সাথে ফোনে তিনি বলেন, ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ সম্মেলনে ইরানের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

ওআইসি সম্মেলনের আগে এক বক্তৃতায় সৌদি যুবরাজ “ফিলিস্তিনি ও লেবাননের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার” নিন্দা করেন। তিনি বিশ্বের দেশগুলোকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘আর আগ্রাসন না করার’ এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গীতও গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশার কথা কোনো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের আগ্রাসন আরব ও ইসলামি বিশ্বের নেতাদের জরুরি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। সম্মেলনের মূল অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে

  • এই অঞ্চলে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করা।
  • বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা।
  • ফিলিস্তিনি ও লেবাননের জনগণকে সাহায্য করা।
  • চলমান হামলা বন্ধ করা।
  • এবং স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া।
আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X