November 24, 2024
সমুদ্রপথে হজযাত্রী প্রেরণের প্রস্তাবে সম্মত সৌদি

সমুদ্রপথে হজযাত্রী প্রেরণের প্রস্তাবে সম্মত সৌদি

সমুদ্রপথে হজযাত্রী প্রেরণের প্রস্তাবে সম্মত সৌদি

সমুদ্রপথে হজযাত্রী প্রেরণের প্রস্তাবে সম্মত সৌদি

বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে  মাত্র ৭ দিনে মক্কায় হজ করতে যাওয়া যাবে, , তবে খরচ এখনো নির্ধারণ না হলেও  ধারণা করা হচ্ছে খরচ পড়বে চার লক্ষ টাকার মত বা তার কিছু কম বেশি। বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ২০২৪ সাল থেকে একটি ৩২ তলা জাহাজ চট্টগ্রাম-জেদ্দা সমুদ্র রুটে চলাচল শুরু করবে।

বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রীদের পাঠানোর প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে সৌদি সরকার। সৌদি আরবের জেদ্দায় হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি মন্ত্রী এ সম্মতির কথা জানান।

রোববার বিকেলে বৈঠকে সৌদি হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় উপদেষ্টার প্রস্তাবে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীদের সমুদ্রপথে পাঠাতে সৌদি সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তবে এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও শিপিং কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার এ বছর পরীক্ষামূলক নৌপথে জাহাজে করে দুই থেকে তিন হাজার হজযাত্রী পাঠানোর কথা ভাবছে।

হজযাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা উন্নত করার আশ্বাস দিয়েছেন সৌদি হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী। তিনি হজ এজেন্সি মালিক বা তাদের প্রতিনিধিদের পক্ষে মুনাজ্জেম (একাধিক) ভিসার বিষয়েও ধর্মীয় উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও, মন্ত্রী ধর্মীয় উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেছেন যে রুট টু মক্কা প্রোগ্রামের অধীনে ২০২৩ এবং ২০২৪  সালে হজযাত্রীদের কিছু লাগেজ হারানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বছর সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় প্রতিটি এজেন্সিতে কমপক্ষে দুই হাজার হজযাত্রী পাঠানোর কোটা নির্ধারণ করে। এই বিষয়ে, ধর্মীয় উপদেষ্টা ২০২৪  সালে অনুরূপ সংস্থা প্রতি আড়াইশ জনের কোটা পুনর্নির্ধারণের অনুরোধ করলে, সৌদি মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দেন।

এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীকে সহযোগিতা করেন হজ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী মো. হাসান আল মানাখেরা এবং বদর আল সেলামি, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক।

এ সময় ধর্মসাছির মু. হামিদ জমাদ্দার, হজ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রকিবুল্লাহ, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবির, জেদ্দা হজ মিশনের কাউন্সেলর জহিরুল ইসলাম, হজ কনসাল মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Read More

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X