নেতানিয়াহু মঞ্চে উঠতেই জাতিসংঘের অধিবেশন কক্ষ খালি হয়ে যায়
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯ তম অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন। তবে গতকাল (২৭ সেপ্টেম্বর) তিনি মঞ্চে আসার পর পরই অনেক রাষ্ট্রপ্রধান ও তাদের প্রতিনিধিরা চলে যান। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তুরস্কের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত প্রথমে বৈঠকখানা থেকে বেরিয়ে যান। তারপর একে একে অন্যরা তার পিছু ছাড়তে থাকে।
এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলও অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে। এরপর ইরান ও আরব অঞ্চলের কয়েকটি দেশ এবং আফ্রিকা অঞ্চলের কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকস্থল ত্যাগ করেন।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত নেতানিয়াহুর ভাষণ প্রত্যাখ্যান করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে নেতানিয়াহু ৪১,০০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। তাকেতো কারাগারে থাকতে হবে, জাতিসংঘে কথা বলা উচিত নয়।
সাধারণ পরিষদের একটি সরাসরি সম্প্রচার দেখায় যে, নেতানিয়াহু তার বক্তৃতা শুরু করার পরে চেম্বারের বেশিরভাগ আসন খালি ছিল। অনেক দেশের প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতি, কূটনীতিকরা তখন নেতানিয়াহুর নিন্দা জানাতে দর্শকদের কাছ থেকে চিৎকার করতে দাঁড়িয়েছিলেন।
একই সঙ্গে ইসরায়েলের সমর্থকরা উল্লাস করতে থাকে। উভয়পক্ষের হট্টগোলের কারণে রাষ্ট্রপতি অধিবেশন নির্বিঘ্ন করতে হস্তক্ষেপ করেন।
এ সময় নিরাপত্তা কর্মীদের দর্শক সারিতে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তারা ক্ষুব্ধ কূটনীতিক ও দর্শকদের শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটাও কাজ করেনি। অনেকেই ওয়াকআউট করে বেরিয়ে পড়েন।
কিছুক্ষণ পর হট্টগোল থামলে নেতানিয়াহু বক্তৃতা শুরু করেন। এদিকে নেতানিয়াহু প্রায় আধা ঘণ্টা কথা বলেন। তার বক্তৃতার সময় ইসরায়েলের সমর্থকরা উল্লাস ও করতালিতে ফেটে পড়ে। এ সময় তিনি হামাস ও হিজবুল্লাহ নিয়ে আলোচনা করেন। নেতানিয়াহু বলেছেন যে, তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।