October 6, 2024
ভোলায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান

ভোলায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান

ভোলায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান

ভোলায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান

ভোলায় আরও সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। ভোলায় আরও সাড়ে ছয় লাখ কোটি টাকার উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর আয়তন প্রায় ৫.১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট(TCF)। ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের সন্ধান মিলেছে। এর বাজার মূল্য সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা।

তথ্য অনুযায়ী, এক টিসিএফ গ্যাস দিয়ে দেশের এক বছরের গ্যাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব। তাহলে আরও অন্তত পাঁচ বছর এই গ্যাসে চলতে পারবে বাংলাদেশ। ভোলার শাহবাজপুর ও ইলিশায় ২ দশমিক ৪২৩ টিসিএফ এবং চর ফ্যাশনে ২ দশমিক ৬৮৬ টিসিএফ গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ এখন বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের চাহিদা মেটাচ্ছে। স্পট মার্কেটে (খোলাবাজার) প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দর ১০.৪৬ মার্কিন ডলার, সেই হিসাবে ৫.১০৯ টিসিএফ গ্যাসের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ছয় লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।

গবেষণায় বলা হয়, শাহবাজপুর থেকে ভোলার ইলিশা পর্যন্ত ৬০০ বর্গকিলোমিটার থ্রিডি সিসমিক জরিপ করা হয়েছে।

এটি ২.৪৩২ টিসিএফের পুনরুদ্ধারযোগ্য গ্যাসের মজুদ আবিষ্কার করেছে। ভোলার চরফ্যাশনে আজকের সিসমিক জরিপে মোট ১৫২.৬ লাইন কিলোমিটারে ২.৬৮৬ Tcf গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভোলা এলাকা আমাদের সবচেয়ে সম্ভাবনাময়। গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আনতে ভোলা থেকে বরিশাল, বরিশাল থেকে খুলনা পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শিগগিরই ঢাকায় এলএনজি ও সিএনজি আনা হবে। এ জন্য শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করা হবে। এখন থেকে সব কাজ খোলা টেন্ডারের মাধ্যমে হবে। একাধিক কম্পানিকে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি সীমিত করে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ভোলায় পাঁচটি কূপের মাধ্যমে দৈনিক ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। আরও চারটি কূপ খনন করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিদিন আরও ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। আরও পাঁচটি কূপ প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখান থেকে আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রতিদিন ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। এ ছাড়া আরও ১৪টি কূপ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে।

ভূতত্ত্ববিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘আমাদের ভোলা ও সিলেটের দুটি এলাকা খুবই আশাব্যঞ্জক। এ দুটি এলাকাকে প্রমাণিত গ্যাস এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোলায় কূপ খনন বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের কাজ করতে হবে।

তারা আরও বলেন, এই মুহূর্তে বিদেশি কোম্পানি বাদ দিয়ে শুধু বাপেক্সের মাধ্যমে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা ঠিক হবে না। কারণ বাপেক্স সেই সক্ষমতা তৈরি করেনি। তাই পেট্রোবাংলা ও বিদেশি কোম্পানি যৌথভাবে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাতে পারে। তবেই স্বল্প সময়ে দেশীয় গ্যাস উত্তোলন বাড়ানো সম্ভব হবে।

আরো জানতে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X