November 27, 2024
২৮ অক্টোবর, ২০০৬ হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার দাবী জামায়াত সেক্রেটারির

২৮ অক্টোবর, ২০০৬ হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার দাবী জামায়াত সেক্রেটারির

২৮ অক্টোবর, ২০০৬ হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার দাবী জামায়াত সেক্রেটারির

২৮ অক্টোবর, ২০০৬ হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার দাবী জামায়াত সেক্রেটারির

২০০৬ সালের এই দিনে এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে রচিত হয় এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। চারদলীয় জোট সরকারের শেষের দিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমাবেশ থেকে নবীন যুবকদের প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই নৃশংস হত্যা ও বর্বরতায় বাংলাদেশ কাঁদছে, বিশ্ব কাঁদছে। জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব থেকে শুরু করে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শুধু হত্যা নয়, মৃতদেহের ওপর নাচের দৃশ্যও প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। এটা শুধু নৃশংস হত্যাকাণ্ডই নয়, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের স্বাভাবিক গতিপথ ব্যাহত হয়। সর্বত্র বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার স্লোগান থাকলেও দেশের মানুষ এই নৃশংস ঘটনার বিচার দেখেনি।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৮ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখে হত্যার বিচার চেয়ে বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ২৮ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখে লগি বৈঠার তান্ডবের মাধ্যমে আমাদের ভাইদের নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছিলো। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা জামায়াত আয়োজিত রুকন (সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

এ সময় তিনি বলেন, বিগত সরকার প্রশাসনকে দলীয় করেছে। প্রশাসনে যেসব আওয়ামী দালাল চালাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে তাদের অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তারা সীমাহীন লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আল্লাহর রহমতে ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার দেশত্যাগে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ মুক্তি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আমরা বিজয়ের অন্যতম দাবিদার। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের ১৬ বছর পর খোলা আকাশে কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন।

এসময় মিয়া গোলাম পরওয়ার অতীতের আন্দোলনে রক্তদানকারী শহীদদের স্বপ্নকে শক্তিতে পরিণত করে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন বলেন, ৫ আগস্ট স্বাধীনতার পর সারা বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর জন্য একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন জামায়াতে ইসলামীকে দায়িত্ব দিতে প্রস্তুত।

নড়াইল জেলা জামায়াতের আমির অ্যাড. আতাউর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার রুকন সম্মেলন পরিচালনা করেন। খুলনার আমির প্রফেসর মাহফুজুর রহমান, মাগুরা জেলার আমির এম.বি বাকের, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা রমিজা আশেকে এলাহী ও মো.নুরুন্নবী জিহাদী, মাগুরা জেলা সেক্রেটারি প্রফেসর সৈয়দ আহমদ বাচ্চু, হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা মাওলানা প্রমুখ। মিজানুর রহমান প্রমুখ।

এ সময় সম্মেলনে নড়াইল জেলার তিন উপজেলার ১২ শতাধিক নারী ও পুরুষ রুকন (সদস্য) উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে মিলনায়তনের বাইরে নারীদের বসার জন্য আলাদা প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরো জানতে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X