October 7, 2024
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা অপরাধ আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে পারবে বাংলাদেশ

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা অপরাধ আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে পারবে বাংলাদেশ

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা অপরাধ: আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে পারবে বাংলাদেশ

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা অপরাধ: আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে পারবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ইতিহাসে এত কম সময়ে এত মানুষকে হত্যা ও আহত আর পঙ্গু করার রেকর্ড আর নেই। যেটা স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রশাসন করে দেখিয়েছে।

বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান প্রসিকিউটর (কাউন্সেল) করিম এএ খান।বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া, রোহিঙ্গা সংকট, ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন।

প্রফেসর ইউনূস আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরকে জুলাই-আগস্টের ছাত্র বিদ্রোহের সময় গণহত্যার অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। এই অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের বর্বরতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫০০ এর বেশি মানুষ মারা যায় এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়।

আইসিসিতে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে করিম খান বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই হেগ ভিত্তিক আদালতে মামলা করতে পারে। তবে আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

বৈঠকে করিম খান ২০১৯ সালে রোহিঙ্গা বিতাড়নের বিষয়ে আইসিসির তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অধ্যাপক ইউনূসকে অবহিত করেন। আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি আরও জানান, চলতি বছরের শেষ নাগাদ তিনি বাংলাদেশ সফর করবেন।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অধ্যাপক ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করে করিম খান বলেন, এসব প্রস্তাব রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন গতি আনবে।

বুধবার জাতিসংঘ সদর দফতরে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং সমাধান, , রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটের জন্য শক্তিশালী যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনা এবং ২০১৭ সালে রাখাইনে সংঘটিত গণহত্যার অপরাধের ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জোরালোভাবে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চালানোর প্রস্তাব দেন। এ তিনটি প্রস্তাবই চমৎকারভাবে নিখুঁত বলে মন্তব্য করেন করিম খান।

আরো পড়তে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X