November 21, 2024
সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দ করে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফেরত পাঠাতে বৃটিশ এমপির চিঠি

সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দ করে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফেরত পাঠাতে বৃটিশ এমপির চিঠি

সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দ করে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফেরত পাঠাতে বৃটিশ এমপির চিঠি

সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দ করে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফেরত পাঠাতে বৃটিশ এমপির চিঠি

বাংলাদেশে সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী পলাতক সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যাবতীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম। ২৪ শে সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির ডিরেক্টর জেনারেল গ্রেম বিগারকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি জানতে চেয়েছিলেন যে, এই সম্পদগুলির বিষয়ে জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনসিএ) কী ব্যবস্থা নিয়েছে। আপসানা বেগম মনে করেন, বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রীর এসব সম্পত্তি দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

ওই চিঠিতে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নে অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন। এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান। নতুন সরকার গঠনের পর এসব ব্যাপক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

চিঠিতে আপসানা বেগম বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী কর সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তাধীন। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে এবং দাবি করেছে যে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যে কোটি কোটি ডলার পাচার হয়েছে

তিনি যোগ করেন যে, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস অফ এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি এবং ইউকে কোম্পানি হাউসের রেকর্ডের পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলি কমপক্ষে ২৮০ টি সম্পত্তির মালিক ছিল, যার বাজার মূল্য £ ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি। আল-জাজিরার তদন্তে আরও জানা গেছে যে, আপসানা বলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী আমার নির্বাচনী এলাকা পপলার ও লাইমহাউসে ৭৪টি সম্পত্তির মালিক।

ব্রিটিশ এমপি আরও লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করি, প্রশ্নবিদ্ধ এসব সম্পত্তি বাংলাদেশের। তা বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত, যাতে তারা গণতন্ত্র ও মানুষের  সমাজের জন্য কাজ করতে পারে। দুর্নীতি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জীবনযাত্রার মান, কর্মক্ষেত্রের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এনসিএ মহাপরিচালককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন অবৈধভাবে অর্জিত তহবিল পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইছে, তাই যুক্তরাজ্যের সমস্ত তদন্ত ও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ  বাজেয়াপ্ত করার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করে জানালে আমি খুবই কৃতজ্ঞ হব। এই দুর্নীতির তদন্তে অভিযুক্ত সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যদের  অবৈধ সম্পদ। আপনি অবশ্যই একমত হবেন যে এই তহবিলগুলি জব্দ এবং প্রত্যর্পণ শুধুমাত্র ন্যায়বিচারের জন্য নয়, বাংলাদেশের জনগণের অধিকারের ভবিষ্যতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। একই সময়ে, এটি যুক্তরাজ্যের সুনাম এবং আন্তর্জাতিক অবস্থানের জন্যও অপরিহার্য।

শেখ হাসিনা সরকারের দুর্নীতির বিষয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্যের বরাত দিয়ে চিঠিতে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অবৈধভাবে অর্থ পাচার করে ব্রিটেনে ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ অর্জন করা। ব্রিটিশ ল্যান্ড রেজিস্টারের তথ্য অনুযায়ী, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২৮০ টি সম্পত্তি কিনেছেন।

আপসানা বেগম চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে আমার নির্বাচনী এলাকায় শুধু পপলার ও লাইম হাউসের ৭১টি বাড়ি পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ব্রিটিশ সরকারও বাংলাদেশকে পূর্ণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

অপ্সনা বেগম চিঠির শেষে লিখেছেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করতে না পারলে আন্তর্জাতিকভাবে ব্রিটেনের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে।

আরো পড়ুন

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X