আর্জেন্টিনায় বৃদ্ধার দেয়া আগুনে পুড়ে মরল তিন সমকামী নারী
ঘটনাটি ঘটেছে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের একটি বোর্ডিং হাউসে। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম বুয়েনস আইরেস হেরাল্ড এ খবর জানিয়েছে।
সংবাদপত্রের মতে,৬ মে, বৃদ্ধা সমকামী মহিলাদের বোর্ডিং রুমে প্রবেশ করেন এবং একটি মল্টভ ককটেল ছুড়ে মারেন। পামেলা ফ্যাবিয়ানা কোবাস নামে এক সমকামী নারী তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান। তার সমকামী সঙ্গী, মার্সিডিজ রোকসানা ফিগুয়েরো, দুই দিন পর অঙ্গচ্ছেদের কারণে মারা যায়। এবং তৃতীয় সমকামী মহিলা, আন্দ্রেয়া আমার্টনে, ১২ মে মারা যায়।
আগুনে আহত চতুর্থ মহিলা, ৪৯ বছর বয়সী সোফিয়া ক্যাস্ট্রোরিগ্লোস, হাসপাতালে রয়েছেন। তবে তিনি বেঁচে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জাস্টো ফার্নান্দো ব্যারিওন্টোস নামের ৬২ বছর বয়সী এক নারী সমকামী নারীদের ওপর হামলা চালান। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তিনি দাহ্য পদার্থে ভেজানো একটি ন্যাকড়া নারীদের ঘরে ছুড়ে দেন। এরপর আগুন লেগে যায়।
ওই রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু সে সময় তিনি আহত হন। ফলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমকামী নারীদের ওপর হামলাকারী বৃদ্ধা ক্ষুব্ধ। এর আগেও কয়েকবার হুমকি দিয়েছিলেন ঐ সমকামীদেরকে।
ধর্মীয় আইনে সমকামিতা একটি জঘন্য নোংরা অপরাধ। ফলস্বরূপ, এটি বেশিরভাগ দেশে নিষিদ্ধ। তবে ২০১০ সালে আর্জেন্টিনায় এটিকে বৈধতা দেয়া হয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে অবশ্য সমকামিতাকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
মানুষ মারা গিয়েছে, মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এটা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু তারা যে কাজে লিপ্ত হয়েছিল সেটা কোন সভ্য মানুষের দ্বারা সম্ভব হতে পারে না। এর চেয়ে জঘন্য খাচরামি খোদার জগতে আর নেই । যদিও তারা যুক্তি দেয় প্রাণীতে প্রাণীতে ,পশুতে পশুতে এ কাজ হতে পারলে আমরা কেন করতে পারবো না? । তাহলে আমাদের যুক্তি হলো পশু যদি তার বিশটা,গু বা মল খেতে পারে তাহলে তোমরা নিজেরা নিজেদের গু কেন খেতে পারোনা? খেয়ে নাও। লক্ষ লক্ষ প্রজাতির পশু পাখির মধ্যে হয়তো বা বিরল দুই একটা পশু পাখি এ কাজ করছে বলে সমকামীদের খোড়া যুক্তি রয়েছে । যা তারা দূরবীন দ্বারা শত বছর চেষ্টা করে, না বুঝে খুঁজে বের করে নিজেদের কু- কর্মকে আড়াল করতে এই যুক্তি প্রদর্শন করে। কিন্তু পশু আর মানুষ কক্ষনো এক হতে পারে না । এক হওয়া সম্ভব নয় । তাই ভেবে চিন্তে আসা উচিত এর আগে নয়।
উল্লেখ্য, নভেম্বর, ২০১৬
ব্রাজিলের দর্শকরা সমকামী বিদ্বেষী স্লোগান দিলে জরিমানা করে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন।
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সময় ঘরোয়া সমর্থকদের দ্বারা আপত্তিকর শ্লোগান এবং অন্যান্য আচরণের জন্য ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা এবং চিলিকে জরিমানা করেছে।
তখন বিপাকে পড়তে হয়েছে এই ফুটবল ফেডারেশনগুলোকে। শাস্তি গুনতে হচ্ছে মেসি-নেইমার-সানচেজের দেশকে।
সেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে বলিভিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। সেই ম্যাচে বলিভিয়াকে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। ম্যাচ চলাকালীন ব্রাজিল সমর্থকরা আক্রমণাত্মক এবং সমকামী বিদ্বেষী স্লোগান দেয়। এক মাসেই দ্বিতীয়বার একই কারণে ব্রাজিলকে জরিমানা করা হলো। এবার নেইমারের দেশকে দিতে হয়েছে ২৫ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক।
ব্রাজিলের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ও চিলিকেও জরিমানা করা হয়েছে। সান্তিয়াগোতে পেরুর বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ের সময় চিলির সমর্থকরা একই ধরনের স্লোগান দিয়েছিল। সেই কারণে চিলি ফুটবল ফেডারেশনকে ১৫ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক জরিমানা দিতে হয়েছে।
এদিকে প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করায় আর্জেন্টিনাকে ১৫ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক দিতে হয়েছে।
ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্রাজিল, চিলি ও আর্জেন্টিনা ছাড়াও আলবেনিয়া, কসোভো, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, ইউক্রেন, প্যারাগুয়েকে জরিমানা গুনতে হবে। আলবেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়াকে ৪০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে।
ফিফা আরও বলেছে, একটি নির্দিষ্ট ম্যাচ চলাকালীন ভক্তদের কাছে ধর্মীয় বিষয়বস্তু উপস্থাপনের জন্য ইরানকে জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়তে
ইসরায়েলসহ সকল ভূমিকম্পের জন্য সমকামীরা দায়ী: ইহুদি প্রধান ধর্মগুরু রাব্বি শ্লোমো আমর