November 24, 2024
ভারতের লেন্সে বাংলাদেশকে দেখে না যুক্তরাষ্ট্রঃ মার্কিন দূতাবাস

ভারতের লেন্সে বাংলাদেশকে দেখে না যুক্তরাষ্ট্রঃ মার্কিন দূতাবাস

ভারতের লেন্সে বাংলাদেশকে দেখে না যুক্তরাষ্ট্রঃ মার্কিন দূতাবাস

ভারতের লেন্সে বাংলাদেশকে দেখে না যুক্তরাষ্ট্রঃ মার্কিন দূতাবাস

মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অন্য দেশের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেনা তারা । তিনি বলেন, “আমি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় শুনেছি যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ভারতের লেন্স দিয়ে দেখে। এটা সত্য নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। আমরা সেভাবে  দেখতে পারলেই একসঙ্গে কাজ করতে পারব। পারস্পরিক স্বার্থ আমরা সরকার এবং মিডিয়া সহ সকলের কাছে জোর দিচ্ছি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আইপিএস নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দূতাবাসের এই রাজনৈতিক কর্মকর্তা এসব কথা বলেন। ইন্ডিয়া প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) এবং বাংলাদেশে এর প্রভাব নিয়ে মার্কিন দূতাবাস এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে।” এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত হয় না। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আমরা দ্বিপাক্ষিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স দিয়ে দেখি না।

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন নিরাপত্তার দিক থেকে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা বলছি। এই অঞ্চলের সব দেশই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম এবং দায়িত্বের সঙ্গে অন্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর দৃষ্টিকোণ থেকে গঠনমূলক এবং টেকসই দৃষ্টিভঙ্গি আপনি এই অঞ্চলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা এবং অবদানকে দ্রুতগতিতে দেখেছি অন্যরা বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত, উদাহরণস্বরূপ, মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ত্রাণ একটি বড় উদাহরণ।

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সাথে দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ছাড়াও, সন্ত্রাসবাদ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করেছে। জঙ্গিবাদ দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ওপর ভিত্তি করে এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত হয় না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আইপিএস নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন এ মন্তব্য করেন। এদিন মার্কিন দূতাবাস ইন্ডিয়া প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) এবং বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারত মহাসাগরে ভারতের নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলো এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে দ্বিপক্ষীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স দিয়ে দেখি না। মিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় শুনেছি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ভারতের লেন্স দিয়ে দেখে। এটা সত্য নয়. পারস্পরিক স্বার্থ দেখলেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। আমরা সরকার ও মিডিয়াসহ সবার কাছে  এই বিষয়টির ভালোবভাবে দেখার  ওপর জোর দিচ্ছি।

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। এ বিষয়ে আইপিএস কী মাত্রা যোগ করেছে জানতে চাইলে ম্যাক্সওয়েল বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০ সমর্থন করে। এ লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। আইপিএসের প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাড়তি পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং পূর্ববর্তী সহযোগিতাকে এগিয়ে নিচ্ছে।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের দেশগুলো বাধা সৃষ্টি করছে এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, চীনের মতো কয়েকটি দেশ ভবিষ্যতেও নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নিজেদের জাহির করতে পারে। এটি দক্ষিণ চীন এবং তাইওয়ানে ঘটেছে। আমরা আইপিএসের ক্ষেত্রে এমন দাপটের আচরণ দেখতে চাই না।’

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, “আপনি যদি আইপিএস মানচিত্রটি দেখেন তবে আপনি দেখতে পাবেন যে বিশ্বের বেশিরভাগ বাণিজ্য এই অঞ্চলে হয়।” এ অঞ্চলকে ঘিরে অর্থনৈতিক উন্নয়নও ঘটছে। তাই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোর স্বার্থের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে মুক্ত ও উন্মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি ও সমৃদ্ধির ওপর।

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন নিরাপত্তার দিক থেকে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা বলছি। এই অঞ্চলের সব দেশই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম এবং দায়িত্বের সঙ্গে অন্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর দৃষ্টিকোণ থেকে গঠনমূলক এবং টেকসই দৃষ্টিভঙ্গি আপনি এই অঞ্চলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা এবং অবদানকে দ্রুতগতিতে দেখেছি অন্যরা বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত, উদাহরণস্বরূপ, মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ত্রাণ একটি বড় উদাহরণ।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কীভাবে সাহায্য করছে জানতে চাইলে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ছাড়াও, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X