September 19, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
সরকারের সাড়াশি অভিযানে সারাদেশে ২ কোটি মানুষ উদ্বাস্তুঃ দাবী বিএনপির

সরকারের সাড়াশি অভিযানে সারাদেশে ২ কোটি মানুষ উদ্বাস্তুঃ দাবী বিএনপির

সরকারের সাড়াশি অভিযানে সারাদেশে ২ কোটি মানুষ উদ্বাস্তুঃ দাবী বিএনপির

সরকারের সাড়াশি অভিযানে সারাদেশে ২ কোটি মানুষ উদ্বাস্তুঃ দাবী বিএনপির

স্বল্প হায়াতে জিন্দেগীতে ক্ষমতার মতো লোভাতুর কোন বস্তু মনে হয় আর নেই। যাকে ধরে রাখতে অযৌক্তিক এবং অনর্থক অনেক জঘন্য রকম অন্যায় কাজও ক্ষমতাসীনরা করে থাকেন । যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ বাংলাদেশ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দমন-পীড়ন ও আওয়ামী লীগের হামলায় প্রায় দুই কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ওইসব মানুষ ফেরারি জীবন যাপন করছেন। শুধু বনে নয়, বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে শরণার্থী শিবির। প্রায় ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। তাদের ওপর চালানো হচ্ছে অকথ্য নির্যাতন। সঠিক চিকিৎসা না দেওয়া, অসুস্থ বন্দীদের হাত-পা বেঁধে জেলের হাসপাতালে রাখা হচ্ছে, ধারণক্ষমতার তিনগুণ ছোট সেলে রাখা হচ্ছে । নির্যাতনে বিএনপির তিন নেতার জেলেই  মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই ‘আওয়ামী বাহিনী’ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চেয়েও বেশি হিংস্র। তাদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর। তাদের কাছে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ  মানুষ নয়। আওয়ামী লীগ এখন রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি বাহিনীর ভূমিকা নিয়েছে। হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মী ও তাদের পরিবার, এমনকি তাদের আত্মীয়স্বজনরাও।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আশা এখন হতাশায় পরিণত হয়েছে। মনোনয়ন নিয়ে তাদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এসব দোকান থেকে যারা মনোনয়ন কিনেছেন তাদের বেশির ভাগই জমা দেননি। আর যাদের এমপি বানানোর মুলো দেখানো হয়েছিল তারাও ঘুরছে নিরাশায়। আসলে তাদের আশায় গুড়ে বালি। আওয়ামী লীগ যে প্রতারক তা বুঝতে পারছে হাড়ে হাড়ে।’।

এই জননেতা  রিজভী বলেন, রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত সারাদেশে ৩৫৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ১৪টি মামলায় এক হাজার ২৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে আর কোনো জায়গা অবশিষ্ট নেই। গত দুই সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর ১০ হাজারের বেশি  বিরোধীদলীয় নেতা, সমর্থক ও কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও কয়েক হাজার রাজনৈতিক বন্দী ইতিমধ্যে কয়েক মাস ধরে কারাগারে রয়েছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন, আবার অনেকের বিরুদ্ধে শত শত ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা প্রায় ৪০০০। এতে বর্তমানে ১৩,৬০০ বন্দী রয়েছে।

জানুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার আওয়ামী লীগ দল টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার জন্য ‘প্রধান বিরোধী দল’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর বিরুদ্ধে তাদের নৃশংস দমন-পীড়ন জোরদার করেছে। বাংলাদেশে খুব কম লোকই বিশ্বাস করে যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু বা গণতান্ত্রিক হবে। বিএনপি বলেছে, যতদিন হাসিনা দায়িত্বে থাকবেন, ততদিন তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না।

অন্যদিকে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি নিয়ে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

কয়েক মাস ধরে বিরোধী দলের হয়রানি সত্ত্বেও, ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ঢাকায় বিএনপির একটি সমাবেশ সরকারকে তীব্র দমন-পীড়নকে প্ররোচিত করে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সমাবেশের আগের দিনগুলোতে বিএনপির শতাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন বিএনপি সমর্থকরা  রাস্তায় নামলে পুলিশসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ছুরি ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে সমাবেশে হামলা করতে দেখা যায়। সমাবেশের দিন সহিংসতায় বিএনপির এক কর্মী, একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন সাংবাদিকসহ অন্তত তিনজন নিহত হন।

বিএনপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি ও এর সদস্য সংগঠনের ৫ লাখের বেশি নেতা-কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে এক লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নথিভুক্ত করা ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্টের মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন পদ্ধতিগত। যার মধ্যে রয়েছে বলপূর্বক গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন। বাংলাদেশে যতবারই নির্বাচন হয়, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় এবং বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে মিথ্যা ফৌজদারি মামলা দিয়ে নির্বিচারে আটক করা হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে, বিরোধীদের হয়রানি এবং ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ ছিল। সেই নির্বাচনকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে ব্যাপকভাবে নিন্দা করা হয়। বেশিরভাগ মানুষ এখন ভাবছেন যে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একই রকম দৃশ্য দেখা যাবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এবং সহিংসতা বন্ধ এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শেখ হাসিনাকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে ব্রিটিশ হাইকমিশনার ।

শেখ হাসিনার দমনমূলক পদ্ধতি বিএনপির আন্দোলনে ইন্ধন জোগাচ্ছে, কারণ হাসিনার সরকার এখন দুর্বল অর্থনীতি এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মুখে জনগণের প্রতিবাদের মুখোমুখি। একথাও সত্য যে,২৮ অক্টোবরের সমাবেশে রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি দরিদ্র শ্রমিকরাও অংশ নেন।

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X