September 20, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
যে কোনো সময় মারা যেতে পারেন খালেদা জিয়া: চিকিৎসক

যে কোনো সময় মারা যেতে পারেন খালেদা জিয়া: চিকিৎসক

যে কোনো সময় মারা যেতে পারেন খালেদা জিয়া: চিকিৎসক

যে কোনো সময় মারা যেতে পারেন খালেদা জিয়া: চিকিৎসক

আইনের খোঁড়া যৌক্তিক মারপ্যাচ আটকে দিচ্ছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা। সংকটে থাকা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ করে রাজনীতির বন্ধ দরজা খুলে দিতে পারতেন হাসিনা সরকার। প্রচলিত আইনে মানবতা কেন বাধা হয়ে দাঁড়াবে?

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে কোনো সময় মারা যেতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।

সোমবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি তাতে “খালেদা জিয়া মূল চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট দরকার। অবিলম্বে। তাকে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় যে কোনো সময় তার মৃত্যু হতে পারে।”

তিনি বলেন, লিভারে সংক্রমণের কারণে খালেদা জিয়ার পেটে বারবার পানি চলে আসছে। উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকও কাজ করছে না। পেট থেকে পানি হৃদপিন্ডে পৌঁছায়। এ জন্য তাকে এরই মধ্যে দুবার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসক এফএম সিদ্দিকী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণে এ পর্যন্ত চার ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। তাকে ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আমাদের কাছে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, আমাদের যা যা করার ছিল সবই আমরা করেছি। উন্নত চিকিৎসাই একমাত্র ভরসা। যদি  দুই বছর আগে টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিলে খালেদা জিয়ার পেট ও হার্টে রক্তক্ষরণ হতো না। তার অবস্থা এতটা সঙ্কটজনক হতো না।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে টিপস ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা হয় না। ২০০৬ এবং ২০০৮ সালে বারডেম পরীক্ষামূলক লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু করে কিন্তু তা চালিয়ে যাওয়া যায়নি। কয়েকদিন আগে পরীক্ষামূলকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলেও তা আবারও বন্ধ হয়ে যায়।

ডাঃ সিদ্দিকী আরও বলেন, আমাদের সব অপশন শেষ হয়ে গেছে। আমরা তাকে ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি। সময় এখনো শেষ হয়নি। বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে চিকিৎসা করালে তার অবস্থার উন্নতি হতে পারে। এর জন্য টিপস পদ্ধতি প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটা করলে পেটে এক ফোঁটা পানিও জমবেনা ।

ড. মহসিন বলেন, ‘লিভার প্রতিস্থাপনের সেটআপ এখনো বাংলাদেশে নেই। খালেদা জিয়ার মতো সংকটাপন্ন রোগীকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া ছাড়া এটা করা সম্ভব নয়।’

ডাঃ নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, পাকস্থলীতে পানি জমে সংক্রমণ একটি মারাত্মক সমস্যা। মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। এবার আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারব না। আমাদের কাছে অন্য কোন চিকিৎসাও  নেই। এমন পরিস্থিতিতে তার মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।

শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘যখন কোনো কলাপস হয় তখন সিসিইউতে নেওয়া হয়। সিসিইউতে যে সেটআপ আছে কেবিনে সেটা নেই। আমরা যদি টিপস পদ্ধতি করতে পারি তাহলে তার অবস্থার উন্নতি হতে পারে। সে ৯০/১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।’

ডাঃ শামসুল আরেফিন বলেন, “তার কাছে এখন জীবন-মৃত্যু একটা খেলা। আমরা কোনো কোনো সময় হতাশ হয়ে যাই- এই বুঝি তার সময় শেষ হলো। বিদেশে নিয়ে যাওয়াটা তার জন্য জরুরি। বিদেশে ভালো চিকিৎসা পেলে তার জীবন মান আরও ভাল হবে।

খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জন করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ড. জাহিদ বলেন, এটা গবেষণার বিষয়।৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, টানা দুই বছর কারাভোগের পর অসুস্থতার কারণে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বাসায়  ফিরে আসেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে সরকার তার মুক্তির সময়সীমা আটবার বাড়িয়েছে।

বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে তার ভাই শামীম ইস্কান্দার তার পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা সর্বশেষ আবেদনটি আইনি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

তখন  আইন মন্ত্রণালয় ওই আবেদনের ওপর নেতিবাচক মতামত দিয়েছে, তাই খালেদা জিয়ার আর বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকার নির্বাহী আদেশ বাতিল করে তাকে কারাগারে ফেরত না পাঠালে তার আবার কারাগারে যাওয়ারও  সুযোগ নেই।

তবে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেছেন, আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আইনের সঠিক ব্যাখ্যা দেয়নি।

বরং কামাল সাহেব দাবি করছেন, যে আইনে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া এখন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২৫শে সেপ্টেম্বর তার ভাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ওঠে যে ‘বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি সরকার ইতিবাচকভাবে দেখবে’।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এরই মধ্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, বিদেশে যাওয়ার আবেদন করতে হলে খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে যেতে হবে।

কাউকে আইনের পেচে অসুস্থতায় বন্দি রেখে জীবনকে শঙ্কার  দিকে ঠেলে দেওয়া ক্ষমতার বাহাদুরিতে কাপুরুষতার পরিচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।  তারপরেও যে ব্যক্তিকে এভাবে বন্দি রাখা হয়েছে তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী,এবং তিনবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ।  এখন  তাকেই  আইনের দোহাই দিয়ে এবং আইনের কোনরকম ব্যাখ্যা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে না । এটা অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে ক্ষমতা চিরদিনের ঠিকানা নয়।  এবং বিজ্ঞানের কথায়  প্রতেক বস্তু  তার ডবল রিএকশন নিয়ে ফিরে আসে।  তাই আশা করব আপাতত ক্ষমতাকে একপাশে রেখে সরকারের বোধোদয় হোক।

আরও পড়ুন

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয় পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্রঃ অবস্থান করছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুঁশিয়ারিঃ বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X