কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবহারে ইসলামের বিধান
মানুষকে দেখানোর জন্য আর মাংস খাওয়ার জন্যই কেবলমাত্র কুরবানী নয় । নির্দিষ্ট পশুকে জবাই করার মাধ্যমে একমাত্র আল্লাহ তাআলাকে পাওয়ার উদ্দেশ্যে তার রাসূলের শেখানো পথে কুরবানী করলেই কেবল সে কোরবানি গ্রহণযোগ্য তাই পৌঁছায় ।
সে মর্মেই উট, গরু্,মহিষ, বেড়া/ছাগল, দুম্বা এর রক্ত প্রবাহিত করার মাধ্যমে কোরবানিদাতা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করেন। আর হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও বিশ্বনবী (সা.)-এর আদর্শ বাস্তবায়ন করাই আসল মাকসাদ ।
সামর্থ্যবান সবাই কোরবানি করবেন। কিন্তু কোরবানির পর পশুর চামড়া দিয়ে কী করবেন? এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?কারণ কোরবানিদাতা চামড়া বিক্রির অর্থ নিজের কাজে ব্যয় করতে পারেন না। তবে চাইলে আপনার কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু কিভাবে? এ ব্যাপারে ইসলামের বিধান কি?
কুরবানী চামড়া ব্যবহারঃ
কোন ব্যক্তি কুরবানী করলে তিনি তার কুরবানীর পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার করতে পারবেন। ইচ্ছা করলে সে চামড়া প্রসেস করে জায়নামাজ,চাদর, মশক বা যেকোনো সুইটেবল জিনিস বানানোর মাধ্যমে কোরবানি দাতা নিজে ব্যবহার করতে পারেন। আর এটা উত্তমও বটে ।
কোরবানির চামড়া বিক্রিঃ
কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করা যাবে। তবে কোরবানি দাতা নিজের কাজে বিক্রির টাকা খরচ করতে পারবেন না। আর তা নিজের কাজে ব্যয় করা জায়েয নয়। এই টাকা দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা উচিত।শেরে খোদা হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আমি যেন কসাইকে কোরবানির মজুরির গোশত বা চামড়া থেকে কিছু না দিই।’
চামড়া বিক্রির টাকা কে পাবে?
যারা যাকাত, ফিতরা পাওয়ার যোগ যারা তারাই কোরবানির চামড়া থেকে টাকা পাওয়ার অধিকারী। তবে এক্ষেত্রে এতিম, দরিদ্র ছাত্রদেরও দেওয়া যেতে পারে।
হাদিস অনুযায়ী কুরবানীর পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার করা উত্তম। কিন্তু আপনি যদি এটি বিক্রি করেন তবে আপনি নিজের ব্যবহারের জন্য এর মূল্য ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি একজন কসাইয়ের মজুরি চামড়া বা মাংস দিয়েও দেওয়া যায় না।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন;একমাত্র তাকে রাজি-খুশি করানোর জন্য কুরবানী করার । এবং এ কুরবানীর চামড়া ও মাংসের নির্দিষ্ট অংশ গরিব মিসকিনকে এবং নির্ধারিত হকদারকে বন্টন করে দেওয়ার মাধ্যমে আমাদেরকে তার নৈকট্য লাভের তৌফিক দান করুন । আমীন
1 Comment