মণিপুরে সহিংসতা ও রক্তপাত থামছেই না, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৫
ভারতের মণিপুর রাজ্যে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অস্থিরতা চলছে। রাজ্যের এক ডজনেরও বেশি জেলায় স্থানীয় মাইতেয়ী এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্বে রক্তপাত অব্যাহত রয়েছে। ৩ মে থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১১৫ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার বিপক্ষ দলের দুর্বৃত্তদের গুলিতে সর্বশেষ ৯ জন নিহত হয়েছে। ওই হামলায় আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ।
মাইতেয়ী এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষের কারণে সহিংসতা শুরু হয়েছিল। সর্বশেষ সহিংসতা মণিপুরের ইম্ফল এবং কাংপোকাই গ্রামের মধ্যে সীমান্তে ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে স্থানীয় কুকি সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। যদিও মাইতেয়িদের দাবি, ওই ঘানায় নিহত ব্যক্তিরা আসলে তাদের সম্প্রদায়ের মানুষ।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় প্রতিরক্ষা বাহিনী। ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে দুর্বৃত্তদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। ইম্ফলের পুলিশ সুপার কে শিবকান্ত সিং জানিয়েছেন, রাত ১০টার কিছু পরেই গ্রামে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।
৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে কুকি সম্প্রদায়ের একজন প্রতিনিধি জানান, সশস্ত্র জঙ্গিরা এ হামলা চালিয়েছে। প্রাথমিকভাবে কুকি স্বেচ্ছাসেবীরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তারাও সশস্ত্র ছিল। পরে হামলার মাত্রা বেড়ে গেলে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপর চলে যান আসাম রাইফেলস এলাকায়। এরপর শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। এ কারণে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও মণিপুরে এই সহিংসতা বন্ধে হস্তক্ষেপ করেছে । সম্প্রতি মণিপুরে চার দিনের সফরে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তিনি সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। সহিংসতা চলতেই থাকে। সম্প্রতি, ভারত সরকার মণিপুরে সহিংসতা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে।
1 Comment