১৫ বছরের জমানো অর্থে ওমরাহ পালন, এবার হজের ইচ্ছা
৪২ বছর বয়সী আব্দুল কাদির বখশ ১৫ বছরের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। আবদুল কাদির বখশের বয়স ৮২ বছর। জীবনের পতনেও অভাব পিছু ছাড়েনি। তাই পেটের তাগিদে ছাগল চরানোর কাজ করেন পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের এই বাসিন্দা। সমস্ত দুঃখ-কষ্ট সত্ত্বেও তাঁর হৃদয় আল্লাহর প্রেমে পরিপূর্ণ । চরম অসহায়ত্বের মধ্যেও তিনি পবিত্র কাবা শরীফ ও রওজা শরীফ দেখার স্বপ্ন দেখেন। তাই নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য যতটা সম্ভব সঞ্চয় করতে শুরু করেন। সামান্য পরিমাণ হলেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখেছেন। এরপর ১৫ বছরের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। মক্কায় তার কোন পথপ্রদর্শক ছিল না। তিনি বলেন তিনি বেলুচি ছাড়া অন্য কোনো ভাষাও জানেন না। কিন্তু প্রভু তার সব প্রার্থনা কবুল করেছেন, ।
গত রমজানে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতে দেখা যাচ্ছে এক বৃদ্ধা লাঠি নিয়ে একাকী মসজিদে নববীতে হাঁটছেন। সাদা কোট পরা এই বৃদ্ধের দৃষ্টিশক্তিও খুবই ক্ষীণ। তার চলার পথে মনে হচ্ছিল সে কাউকে মিস করছে বা কিছু খুঁজছে। ভাইরাল ভিডিওটি লক্ষাধিক ভিউ হয়েছে। তার সহজ সরল আচরণ সবার নজর কেড়েছে। এমনকি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের উপদেষ্টা তুর্কি আল-শেখ তাকে খুঁজতে টুইট করেছেন।
এদিকে বৃদ্ধের কাছে কোনো ধরনের মোবাইল ফোন না থাকায় ভিডিওটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ একদম বেখবর সেই বৃদ্ধ। । গত শনিবার (২২ এপ্রিল) ওমরাহ পালন শেষে নিজ গ্রামে ফিরেছেন । পরিচিতরা তাকে পাতা এবং ঘাস দিয়ে তৈরি একটি কুঁড়েঘরে অভিনন্দন জানায়। পরদিন আরব নিউজের সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি প্রথম এ বিষয়টি জানতে পারেন।
বখশ বলেন, “আমার পাঁচটি সন্তান আছে। একজনকে ডিম ও কাঠ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। আমাদের থাকার জন্য কোনো ঘর নেই; আমরা একটি কুঁড়েঘরে থাকি। আমাদের দিন কাটে দুর্দশার মধ্যে। ১৫ বছর ধরে আমি যেতে চেয়েছিলাম মদীনা।কিন্তু আমার কাছে এর জন্য কোন টাকা ছিল না।আমি আল্লাহর কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেছি।তারপর আমি ছাগল পালন করে টাকা বাঁচাই এবং পাসপোর্ট করে ওমরাহ ভিসার জন্য আবেদন করি।