September 21, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত

ইসলামী মাসগুলোর মধ্যে শাওয়াল মাস বড়ই গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাসের অনেক তাৎপর্য রয়েছে। শাওয়াল আরবি চান্দ্র বছরের দশম মাস।

  • এটি হজের তিন মাসের (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ)একটি ।
  • এ মাসের প্রথম দিন ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদ।
  • পহেলা শাওয়ালে সাদাকাতুল ফিতর বা ফিতরা আদায় করা এবং ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব।
  • এ মাসের সঙ্গে হজের সম্পর্ক,
  • এটি রোজা ও রমজানের সাথে সম্পর্কিত
  • এর সাথে দান ও যাকাত সম্পর্কিত।
  • তৃতীয় হিজরি সনের এই মাসের ৭ তারিখে (২৩ মার্চ, ৬২৫ খ্রিস্টাব্দ) ওহুদের যুদ্ধ হয়।
  • এ মাসটি আমল ও ইবাদতের জন্য খুবই উর্বর ও উপযোগী।

রোজাদারের ব্যক্তিগত অসম্পূর্ণতা ও মানবিক দুর্বলতার কারণে রমজানের রোজা পালনে অনেক ভুলের অবকাশ রয়েছে। মানুষের ভুলের কারণে সৃষ্ট অপূর্ণতা পূরণের জন্য শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শাওয়ালের এই ছয়টি রোজা মুসলিম উম্মাহর জীবনে একটি তাৎপর্যপূর্ণ আমল হিসেবে বিবেচিত। এর মাধ্যমে রমজানে রোজা রাখার সুযোগ পাওয়ার   শুকরিয়া করা হয়

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানে রোজা রাখবে এবং শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখবে, সে যেন সারা বছর রোজা রাখল। (মুসলিম)।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আরও বলেন, ‘আল্লাহ শাওয়াল মাসের ছয় দিনে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি এই মাসে ছয় দিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে প্রত্যেক সৃষ্ট সত্তার সমপরিমাণ নেক আমল দান করবেন, সমপরিমাণ পাপ মোচন করবেন এবং পরকালে তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করবেন।’

হজরত উবায়দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, একদিন আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ, আমি কি সারা বছর রোজা রাখতে পারি? তখন নবী বললেন, “তোমার উপর তোমার পরিবারের হক আছে”, তাই তুমি সারা বছর রোজা রাখবে না। রমজানের রোজা এবং শাওয়ালের ছয় রোজা রাখবে, তাহলে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাবেন (তিরমিজি)।

শাওয়াল মাসের যে কোনো সময় এ রোজা রাখা যায়। ক্রমাগত বা মাঝে মাঝে রাখা যেতে পারে।

শাওয়ালের ছয়টি রোযার সাথে রমজানের ৩০টি রোযা যোগ করলে মোট রোযার সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬টি। আর প্রতিটি নেকীর জন্য ১০ গুণ সওয়াবের কথা কুরআনে উল্লেখ আছে। বলা হয়েছে, ‘কেউ একটি নেক আমল করলে তার ১০ গুণ পাবে। আর কেউ যদি মন্দ কাজ করে তবে তাকে শুধু সেটির ব্দদলা দেওয়া হবে। তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।’ (সূরা: আনআম, আয়াত: ১৬০)

সুতরাং ১০গুণ ৩৬ রোজা সমান ৩৬০ রোজা (এটি সওয়াবের দিক থেকে)। অর্থাৎ সারা বছর রোজা রাখলে একই সওয়াব পাওয়া যাবে। সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজা এবং ছয়টি (শাওয়াল) রোজা দুই মাসের রোজার সমতুল্য। তাই এটি এক বছরের রোজার সমান। (নাসাঈ)

শাওয়ালের ছয় রোজা সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকে মনে করেন শুধু নারীরাই এই রোজা রাখবেন। না এইটা না; এই রোজা নারী-পুরুষ সবার জন্য সুন্নত। মাসের শুরুতে, শেষে বা মাঝামাঝি সময়ে এসব রোজা পালন করা যায়। মাঝে ফাঁক দিয়ে, একসাথে বা আলাদাভাবে রাখা যায়। শাওয়াল মাসে শুরু করে শাওয়াল মাসেই  শেষ করতে হয়। তবে ঈদুল ফিতরের পর শাওয়ালের শুরুতে একসঙ্গে ছয়টি রোজা রাখা উত্তম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X