November 22, 2024
হিজাব না পরা নারীদের শনাক্ত করতে গোপন ক্যামেরা বসিয়েছে ইরান

হিজাব না পরা নারীদের শনাক্ত করতে গোপন ক্যামেরা বসিয়েছে ইরান

হিজাব না পরা নারীদের শনাক্ত করতে গোপন ক্যামেরা বসিয়েছে ইরান

হিজাব না পরা নারীদের শনাক্ত করতে গোপন ক্যামেরা বসিয়েছে ইরান

ইরানে হিজাব ছাড়া নারীদের শনাক্ত করতে গোপন ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। ইরানি পুলিশ দাবি করেছে যে এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল যারা সঠিকভাবে পোশাক পরে না তাদের   ক্রমবর্ধমান সংখ্যা রোধ করা ।

শনিবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ইরানি পুলিশ বলেছে যে তারা হিজাব ছাড়া নারীদের শনাক্ত করার পর “পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক বার্তা” জারি করবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ‘হিজাব আইনবিরোধী প্রতিরোধ মোকাবিলা করা’। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের প্রতিরোধ দেশের আধ্যাত্মিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এবং নিরাপত্তাহীনতা ছড়ায়।

পুলিশ বলেছে, হিজাব আইন লঙ্ঘন করে এমন  কোনো ব্যক্তিগত বা সম্মিলিত আচরণ ও পদক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের পর বাধ্যতামূলক হিজাব আইন শিথিল করা নিয়ে ইরানে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের মধ্যে এই ঘোষণা আসে।

১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পরে আরোপিত একটি আইনের অধীনে, ইরানে মহিলাদের তাদের চুল ঢেকে রাখতে হবে এবং তাদের শরীর ঢেকে রাখার জন্য লম্বা, ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। এই আইন লঙ্ঘনকারীরা জনসাধারণের তিরস্কার, জরিমানা বা গ্রেপ্তারের সম্মুখীন হতে পারে।

ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩০ মার্চ এক বিবৃতিতে বলেছে যে এই বিষয়ে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না, পর্দাকে ইরানী সভ্যতার অন্যতম স্তম্ভ এবং “ইসলামী প্রজাতন্ত্রের একটি বাস্তব নীতি” হিসাবে বর্ণনা করে।

যাইহোক, গত সেপ্টেম্বরে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে অনেক ইরানি মহিলা হিজাব ছাড়াই বাইরে যাচ্ছেন। মহিলাদের জন্য ড্রেস কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে মাহসাকে আটক করা হয়েছিল।

তার মৃত্যু ইরানে ব্যাপক সরকার বিরোধী বিক্ষোভের জন্ম দেয়। কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনী বিরোধীদের ওপর হামলা চালায়। সেই সময়  অনেক বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X