দেশে প্রথমবারের মতো দাগবিহীন থাইরয়েড সার্জারি করেছেন ডা. মাহবুব
কোরআন ও হাদিসের তথ্যানুযায়ী ডাক্তাররাও বড় এবং মানসম্পন্ন আলেম। আবার যদি সে ডাক্তারগণ হন আল্লাহ ভক্ত তাহলে তো মানবতার সেবায় তাদের অবদান অনন্তকালব্যাপী অব্যাহত থাকবে। আর তাদের এই অবদানের প্রতি বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের সকল মানুষের ভালোবাসার অন্ত থাকবেনা। কারণ ডাক্তার পেশায় বিজ্ঞ আলেমগণ তাদেরএলেম দ্বারা অবশ্যই অবশ্যই কল্যাণের কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজ তাদের ঈমান কখনও সায় দিবেনা। তাই ডাক্তারদের এ কাজের প্রতি রয়েছে আমাদের অফুরন্ত শ্রদ্ধা। আর আলেমতো হবেন সেবক, আর ডাক্তার আলেমগণ সেবার দিক দিয়ে অন্যান্য সকল পেশার চেয়ে সর্বকালে সবার উপরে। তাই ডাক্তার হোন; মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করুন। সেই প্রত্যাশায় বাংলাদেশ।
রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দাগবিহীন এন্ডোস্কোপি থাইরয়েড সার্জারি করা হয়েছে। দেশে এ ধরনের অস্ত্রোপচার আগে হয়নি।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কান, নাক ও গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাহবুব আলমের নেতৃত্বে এ সার্জারি চালানো হয়। এই অস্ত্রোপচারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন হাসপাতালের আরেক অধ্যাপক ডা. এম এ মতিন।
সাধারণত থাইরয়েড সার্জারিতে ঘাড়ের সামনের অংশে৪-৬ সেন্টিমিটার দাগ থাকে। এই নতুন পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের কোনো দাগ নেই। এই অস্ত্রোপচারটি একটি ভেস্টিবুলার (নিম্ন ঠোঁট) কাটার মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ৮ সেন্টিমিটার আকারের থাইরয়েড টিউমার অপসারণ করা যেতে পারে। অপারেশন পরবর্তী জটিলতা ও ঝুঁকি কম এবং কণ্ঠস্বরও থাকে ভালো।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. মাহবুব আলম বলেন, দাগবিহীন এই অস্ত্রোপচার প্রযুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের পর, তিন মাসের মধ্যে দাগ সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, চীনসহ অন্যান্য উন্নত দেশে এই অপারেশন নিয়মিত হলেও বাংলাদেশে এই প্রথম। এ পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত ৬ জনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তারা সবাই এখন সুস্থ আছেন।
সশ্রদ্ধ ভালোবাসা আর অ্যাশকে সালামি ডাক্তার মাহবুব এবং তার টিমকে।