এবার ফিতরা জনপ্রতি ১১৫ টাকা
চলতি বছরে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৫ টাকা। আর ফিতরার সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬৪০ টাকা।
ইসলামের দৃষ্টিতে ঈদুল ফিতরের সময় ফিতরা আদায় করা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ওয়াজিব। নাবালক সন্তানদের পক্ষ থেকে পিতাকে এই ফিতরা দিতে হবে। আর তা ঈদুল ফিতরের নামাযের আগে দিতে হবে।
মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী গম, যব,খেজুর, কিসমিস, বা পনির নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য দরিদ্রদের মধ্যে ফিতরা হিসেবে বিতরণ করতে পারে।
গমের ক্ষেত্রে, এর পরিমাণ প্রতি কিলোগ্রামে ৬৫০ গ্রাম। খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ফিতরার প্রয়োজন হয়।
রোববার (২ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
পরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৪৪৪ হিজরিতে সাদাকাতুল ফিতরের হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক যব, কিসমিস, খেজুর ও পনিরের যেকোনো পণ্য দিয়ে ফিতরা দেওয়া যাবে। গম বা আটা দিয়েও ফিতরা আদায় করা যাবে।
এছাড়া যব দিয়ে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ৩৯৬ টাকা, কিসমিস দিয়ে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা খেজুর দিয়ে এর বাজারমূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা। প্রতি কেজি এক সা’ বা ৩৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১ হাজার ৯৮০ টাকা এবং পনির দিয়ে সংগ্রহ করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ২ হাজার ৬৪০ টাকা।
আর গম বা আটার মাধ্যমে ফিতরা আদায় করলে আধা সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে।দেশের বিভিন্ন বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, বার্লি, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। মুসলমানগণ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী উপরোক্ত পণ্য বা বাজারমূল্য থেকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারেন।
উপরোক্ত পণ্যগুলির স্থানীয় খুচরা বাজারের দাম পরিবর্তিত হয়। তদনুযায়ী স্থানীয় হারে অর্থ প্রদান করা হলেও ফিতরা আদায় করা হবে।