টেনেসির স্কুলে বন্দুকধারীর গুলি, তিন শিশুসহ ৬ জন নিহত
গুলির ঘটনা, গুলিতে মেরে ফেলার ঘটনা এগুলা না শুনলে মনেই হয় না যে, এটাই আমেরিকা বা যুক্তরাষ্ট্র। ৩০ বছরে প্রতিনিয়ত দেশটি গুলি করে, বন্দুকবাজি করে; বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল রকমের স্থানে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা করে সারা দুনিয়ায় ভালোই সুনাম অর্জন করেছে। এবং গোলাগুলিতে হতাহতের যদি গিনেস রেকর্ড করা হতো তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাতে অবশ্যই প্রথমত হতো । তাই গিনেজ বুকের কাছে আবেদন তারা ব্যাপারটি খুব ভালভাবে নিয়ে অগ্রসর হওয়ার জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার সকালে টেনেসির ন্যাশভিলের দ্য কভেনেন্ট স্কুলে হামলা চালায় ২৮ বছর বয়সী এক নারী। পরে পুলিশের গুলিতে তিনিও নিহত হন।
উল্লেখ্য, অড্রে হেল নামে ২৮ বছর বয়সী হামলাকারীও পুলিশের হাতে নিহত হয়েছে। তবে হামলাকারীর লিঙ্গ পরিচয় এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে বলেছে, হামলাকারী ন্যাশভিলের একজন নারী। তবে পুলিশ এখন বলছে হামলাকারী হিজড়া। তবে তার লিংকডইন আইডিতে পুরুষ হিসেবে পরিচয় দেওয়া আছে।
অড্রে হেল গতকাল সকালে স্কুলে হামলা চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, তার কাছে দুটি সেমি-অটোমেটিক রাইফেল এবং একটি হ্যান্ডগান ছিল। এদিকে মঙ্গলবার হামলাকারীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আরও অস্ত্র পাওয়া গেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, স্কুলটি একটি বেসরকারি খ্রিস্টান স্কুল। যেখানে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হতো। স্কুলে প্রায় ২০০ জন ছাত্র ছিল, যাদের বয়স ১০থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
যে ৬ জন মারা গেছেন তারা হলেন এভলিন ডিকহাউস (৯), হ্যালি স্ক্রাগস (৯), উইলিয়াম কিনি (৯), সিনথিয়া পিক (৬১), ক্যাথরিন কুনস (৬০) এবং মাইক হিল (৬১) ।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারীর কাছে দুটি অ্যাসল্ট টাইপ রাইফেল এবং একটি পিস্তল ছিল। সোমবার সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে গোলাগুলির খবর পায় পুলিশ। স্কুলের লবিতে গুলি চালায় ওই মহিলা। সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে পুলিশের গুলিতে ওই নারী নিহত হন। তিনি ওই বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের এমন গুলি করার ঘটনা বিরল। কীভাবে ওই মহিলা স্কুলে ঢুকলেন তা এখনও জানা যায়নি। বন্দুকযুদ্ধ ১৪ মিনিট স্থায়ী হয়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘটনাটিকে “পরিবারের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন” বলে অভিহিত করেছেন।তিনি বলেন। “বন্দুক সহিংসতা বন্ধ করতে আমাদের আরও বেশি কিছু করতে হবে। “