November 23, 2024
সৌরজগতের বাইরে নতুন দুটি পানি সমৃদ্ধ গ্রহের’র সন্ধান মিলেছে

সৌরজগতের বাইরে নতুন দুটি পানি সমৃদ্ধ গ্রহের’র সন্ধান মিলেছে

সৌরজগতের বাইরে নতুন দুটি পানি সমৃদ্ধ গ্রহের’র সন্ধান মিলেছে

সৌরজগতের বাইরে নতুন দুটি পানি সমৃদ্ধ গ্রহের’র সন্ধান মিলেছে

পৃথিবী এগিয়েছে অনেক, বিজ্ঞানও অগ্রসর। তাই বিজ্ঞানের গবেষণাকে কোনোভাবেই অবহেলা করা চলেনা। মানুষের একসময়ের ধারণা বসবাসযোগ্য এইপৃথিবির বাহিরেও হয়তোবা বসবাসযোগ্য আরো গ্রহের খোঁজ চলছে।  সেই থেকেই বিজ্ঞানীদের প্রত্যয় যে, পানি সমৃদ্ধ গ্রহ কোথায় আছে দেখতে হবে আমাদের।

একদল মহাকাশ বিজ্ঞানী পৃথিবীর সৌরজগতের বাইরে দুটি নতুন গ্রহ “পানিতে ঢাকা” আবিষ্কারের দাবি করেছেন। মহাবিশ্বে এই ধরনের গ্রহের অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত তাত্ত্বিক ধারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল; গবেষকরা তথ্য দিয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে এবার গবেষকরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি করলেন ‘পানি সমৃদ্ধ পৃথিবী’ আবিষ্কার করেছেন। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

দুটি গ্রহ একটি লাল বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে, গবেষকরা লিখেছেন। কেপলার-১৩৮সি এবং কেপলার-১৩৮ডি নামের দুটি গ্রহ পৃথিবীর সৌরজগত থেকে প্রায় ২১৪ আলোকবর্ষ দূরে একটি সৌরজগতে অবস্থিত। আয়তন পৃথিবীর আকারের দেড়গুণ হলেও দুটি গ্রহের ভর পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুণ।

নাসা এখনও কেপলার-১৩৮d কে তার অনলাইন “এক্সোপ্ল্যানেট” তালিকায় “সম্ভবত পাথুরে গ্রহ” হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে, প্রযুক্তি সাইট সেনেট লিখেছে। গবেষকরা ‘এক্সোপ্ল্যানেট’ শব্দটি ব্যবহার করে পৃথিবীর সূর্য ব্যতীত অন্য কোনো নক্ষত্রের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে এমন সমস্ত গ্রহ চিহ্নিত করতে।

নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের সহ-লেখক, মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বজর্ন বেনেকি বলেন, ‘আগে আমরা মনে করতাম পৃথিবীর থেকে সামান্য বড় গ্রহগুলো পাথর এবং ধাতুর বড় বল ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই আমরা সেই গ্রহগুলোকে সুপার আর্থ বলে অভিহিত করেছি। আমরা এখন প্রমাণ দেখাই যে দুটি গ্রহ (Kepler-১৩৮c এবং D) খুব আলাদা। পানি সম্ভবত উভয় গ্রহের পৃষ্ঠের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ।’

যাইহোক, সম্ভবত নীল মহাসাগর নয়, গরম বায়ুমণ্ডলে ভাসমান জলীয় বাষ্প উভয় গ্রহকে জুড়ে দেয়। “কেপলার-১৩৮C এবং D এর বায়ুমণ্ডল সম্ভবত ফুটন্ত জলের চেয়ে বেশি গরম, এবং আমরা উভয় গ্রহেই ঘন জলীয় বাষ্পের স্তর আশা করি,” মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লেখক ক্যারোলিন পলেট বলেছেন।

জলীয় বাষ্পের বায়ুমণ্ডলের নিচে তরল পানির সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না গবেষকরা। তারা বৃহস্পতি এবং শনির চাঁদ ইউরোপা এবং এনসেলাডাসের সাথে কেপলার জুটির তুলনা করে। মহাকাশ গবেষকরা মনে করেন, ওই দুটি উপগ্রহে পানির অস্তিত্ব রয়েছে। যাইহোক, ওই দুটি উপগ্রহের সাথে কেপলারের জুটির পার্থক্য হল দুটি গ্রহ তাদের নক্ষত্রের খুব কাছাকাছি অবস্থিত।

নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ ইতিমধ্যেই দুটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দুই গ্রহের বায়ুমণ্ডলের গঠন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেননি গবেষকরা। নাসার হাবল এবং স্পিটজার টেলিস্কোপ এই কাজে সহযোগিতা করেছে।

মহাকাশ বিজ্ঞানীরা টেলিস্কোপে সরাসরি নীল জল দেখেননি। যাইহোক, তারা গ্রহের আকার এবং ভর নির্ধারণের জন্য যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন  । গবেষণাগারের মডেলগুলির সাথে সেই ডেটা তুলনা করে, গবেষকরা বলছেন যে দুটি গ্রহের আয়তনের একটি বড় অংশ পাথরের চেয়ে হালকা কিন্তু হাইড্রোজেন বা হিলিয়াম গ্যাসের চেয়ে ভারী একটি উপাদান দিয়ে তৈরি। সে কারণেই পানি কথা স্পষ্ট হয়ে আসছে।

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X