যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য সেনাবাহিনীতে ৮ লাখ তরুণ ভর্তি, দাবি উত্তর কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তাদের প্রায় আট লাখ নাগরিক স্বেচ্ছায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে বা পুনরায় তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে। প্রায় আট লাখ ছাত্র এবং কর্মী শুধু গতকাল শুক্রবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম আরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমটি শনিবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেশটির প্রায় আট লাখ মানুষ প্রস্তুত রয়েছে। এ লক্ষ্যে শুধু শুক্রবার সারা দেশে প্রায় আট লাখ ছাত্র ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অথবা পুনরায় তালিকাভুক্ত হতে স্বেচ্ছাসেবক হয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র সোমবার থেকে ‘ফ্রিডম শিল্ড ২৩’ নামে ১১ দিনের যৌথ মহড়া শুরু করেছে। যা ২০১৭ সালের পরে আর দেখা যায়নি। সামরিক মহড়া নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম।
এদিন কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া, যা ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের জাপান সফরে যাওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে। যদিও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের অধীনে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান।
এর আগে গত ১৩ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ মহড়া শুরু করে। কোরীয় উপদ্বীপে চলমান ১০ দিনব্যাপী মহড়াকে আগ্রাসনের প্রস্তুতি বলে উল্লেখ করেছে পিয়ংইয়ং। দুই দেশের ওই মহড়া শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া।