টিকটক ব্যবহার বন্ধ করেছে ইউরোপীয় কমিশনঃ টিকটকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে চীনভিত্তিক ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কানাডা। কানাডার কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা গোপনীয়তা কমিশনারের কার্যালয় এবং কুইবেক, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও আলবার্টা প্রদেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এই তদন্ত করছে।
অন্যদিকে, ইউরোপীয় কমিশনে (ইসি) কর্মরত কর্মীদের মোবাইল ফোন এবং দাপ্তরিক ডিভাইসে টিকটক অ্যাপ ইন্সটল ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিবিসির একাধিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।
কানাডার গোপনীয়তা কমিশনারের কার্যালয়ের বরাতে বিবিসি জানায়, টিকটক দেশটিতে বলবত থাকা আইন মেনে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করছে কী না সে বিষয়টি তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে। আইনের কোনো ব্যত্যয় হলে সেটি রুখে দিয়ে ব্যবহারকারীদের তথ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এই তদন্তের উদ্দেশ্য বলেও এক বিবৃতিতে জানায় কানাডার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
টিকটকের অনেক ব্যবহারকারী ‘শিশু’ উল্লেখ করে তাদের গোপনীয়তা সুরক্ষিত করা অনেক বৃহৎ স্বার্থ বলেও উল্লেখ করে সংস্থাটি। তবে এই তদন্তকে নিজেদের জন্য ‘সুযোগ’ হিসেবে দেখছে বলে টিকটকের এক মুখপাত্র জানান। এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের কাছে টিকটকের অবস্থান তুলে ধরা যাবে বলে মন্তব্য করেন ওই মুখপাত্র।
এদিকে, তথ্যগত সুরক্ষা এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মীদের মোবাইল এবং অন্যান্য দাপ্তরিক ডিভাইসে টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপীয় কমিশন। অর্থ্যাৎ মোবাইল ও অন্যান্য ডিভাইসে নতুন করে আর টিকটক অ্যাপ ইন্সটল করা যাবে না। যাদের ডিভাইসে এই অ্যাপ ইন্সটল আছে তাদেরকেও সেগুলো সরিয়ে ফেলতে আদেশ দিয়েছে কমিশন।
এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মুখপাত্র সোনিয়া গোস্পন্ডিনোভা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী বিভাগ ইউরোপীয় কমিশনের ব্যবস্থাপনা বোর্ড নিরাপত্তাজনিত কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ড যা কমিশনের কর্পোরেট পরিবেশের বিরুদ্ধে সাইবার আক্রমণ চালাতে পারে, সেগুলো প্রতিরোধের উদ্দেশেই এই ব্যবস্থা।
ইউরোপীয় কমিশনে স্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক প্রায় ৩২ হাজার কর্মী রয়েছে। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে তাদের ডিভাইসে থাকা টিকটক অ্যাপ সরিয়ে ফেলতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কমিশন।