চোরাই মার্কেট বা ব্যক্তি থেকে কোনো চোরাই দ্রব্য ক্রয় করলে তা ব্যবহার করা যাবে কি ?
হ্যাঁ, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চোরাই মার্কেট রয়েছে, সেখানে মোবাইল, জুতাসহ বিভিন্ন জিনিস চুরি করে কম দামে বিক্রি করা হয়। এবং মানুষ প্রায়ই সেখান থেকে ক্রয় করে। এখন জানার বিষয় হলো- এসব চোরাই বাজার থেকে জিনিস কেনা জায়েজ কি? কেনে নিলে কি করবেন?
“চোরাই মার্কেট থেকে আপনি যতো সস্তায়ই দ্রব্য ক্রয় করেন না কেন বা কোন ব্যক্তির কাছ থেকে চোরাই পণ্য কিনেন্না কেন। মনে রাখবেন আপনি সে ব্যাপারে চোরকে সহযোগিতা করছেন। এবং চুরি করাকে ও সহযোগিতা করছেন। আর প্রকারান্তরে চুরি করাকে এবং চোরকে উৎসাহিতও করছেন । তাই ইসলামের সাথে সাথে যৌক্তিক ভাবেও চোরাই মার্কেট বা কোন ব্যক্তির কাছ থেকে কোন প্রকার চোরাই জিনিসপত্র ক্রয় করা একেবারেই ঠিক নয় এবং জায়েজ নয়। আইনগতভাবেও তা বৈধ নয়।”
চুরি করা দণ্ডনীয় জঘন্য অপরাধ। চোর চুরির মাধ্যমে বস্তুর মালিক হয় না। বরং তা মূল মালিকের কাছে হস্তান্তর করা আবশ্যক। মূল মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে একেবারেই সম্ভব না হলে সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত তা সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব।
সুতরাং কোন মার্কেটের ব্যাপারে যদি নিশ্চিত জ্ঞান থাকে অথবা প্রবল ধারণা হয় যে, ওই মার্কেটে যা বিক্রি করা হয় তা চোরাইকৃত তাহলে কারো জন্য সেই মার্কেট থেকে কোনো জিনিস ক্রয় করা জায়েজ হবে না।
ক্রয় করে নিয়ে আসলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না বরং ফেরত দেওয়া জরুরি। ফেরত দেওয়া সম্ভব না হলে তাও সদকা করে দেওয়া জরুরি।
এই মর্মে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি চোরাইকৃত বস্তু জানা সত্ত্বেও তা ক্রয় করল সে চুরির গুনাহ এবং লাঞ্ছনার ক্ষেত্রে অংশীদার হলো। (সুনানে বায়হাকী-হাদিস নং ১১১৪১, মুসতাদরাকে হাকেম-হাদিস নং ২২৫৩)
তবে আপনি নিজের জিনিস যদি কোন চোরাই মার্কেট থেকে ক্রয় করেন । যেমন ধরুন কোনো অনুষ্ঠানেই বেড়াতে গিয়েছেন আর আপনার জুতাটি সেখান থেকে চুরি হয়ে গেল। আর আপনার জানা অথবা না-জানা কোনো চোরাই মার্কেটে গিয়ে ওই জুতাটা আপনি পাইলেন, তাহলে প্রথমে উচিত হবে এই ব্যাপারটি নির্দিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা। তা একেবারেই অসম্ভব হলে আপনি ওই জিনিসটি ঈমান ঠিক রেখে ক্রয় করলে এটা জায়েয হবে। যেহেতু জিনিসটি আপনারই।
1 Comment