December 18, 2024
গরুর মাংস রাখার অভিযোগে হামলা করে মুসলিম হত্যা

গরুর মাংস রাখার অভিযোগে হামলা করে মুসলিম হত্যা

গরুর মাংস রাখার অভিযোগে হামলা করে মুসলিম হত্যা

গরুর মাংস রাখার অভিযোগে হামলা করে মুসলিম হত্যা

দ্বিতীয় বৃহত্তম গরু রপ্তানিকারক দেশ ভারত। এবং গরুর গোশত রপ্তানিতেও তারা শীর্ষে। তাহলে প্রশ্ন হল তাদের যদি গরুর প্রতি এত বেশি প্রীতি থাকে তাহলে তারা কেন গরু গুলো বাইরে সাপ্লাই করে?  তারা কেন তাদের দেশে রেখে দেয় না?  এবং সেগুলোর স্বাভাবিকভাবে  জীবন শেষ  হতে দেয় না?  তাহলে কি বলা চলে তাদের এই আইন কানুন আর গরুর প্রতি তাদের মাতা সুলভ আচরণ এর পিছনে রয়েছে…উদ্দেশ্য।

গরুর মাংস বহন করার সন্দেহে ভারতের বিহার রাজ্যে নাসিম কুরেশি (৫৬) নামে একজন মুসলিমকে অতর্কিত হামলা করে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তিন ব্যক্তিকে। পুলিশের এক কর্মকর্তা শনিবার এ কথা বলেছেন।

এ খবর দিয়ে অনলাইন জিও টিভি বলছে, ভারতের স্থানীয় সরকারগুলো বিভিন্ন অংশে গরুর মাংস বহন, বিক্রি এবং খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে। কারণ হিন্দুদের কাছে গরু একটি পবিত্রতার প্রতীক। ফলে গরুর মাংস বা এর চামড়া থাকার অভিযোগে ঘন ঘন লোকজনের ওপর আক্রমণ হয়ে থাকে। ভারতজুড়ে গরু জবাই একেবারে বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে কট্টরপন্থি হিন্দুরা।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ভারতে ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী জাতীয় সরকার। তখন থেকেই স্বঘোষিত হিন্দু ‘কাউ ভিজিল্যান্ট গ্রুপ’গুলো নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। বর্তমানে বিহার শাসন করছে একটি আঞ্চলিক দল।

বিরোধী দলে আছে নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজ্যে সর্বশেষ এই ঘটনায়, ভিকটিমকে কমপক্ষে ২০ জন মানুষ ঘিরে ধরে এবং তার ওপর হামলা চালায়। আদালতে দেয়া বিবৃতিতে এ কথা বলেছে পুলিশ। ঘটনার সময় পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু নাসিম কুরেশিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। বিহারের রসুলপুর পুলিশ স্টেশনের প্রধান রামচন্দ্র তিওয়ারি বলেছেন, তিন ব্যক্তিকে এ জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

X