November 8, 2024
প্রি-ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকুন

প্রি-ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকুন

প্রি-ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকুন

প্রি-ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকুন

ধর্মীয় অনুশাসন মেনে ডাক্তারের পরামর্শ কি নিয়ন্ত্রণমূলক খাদ্য পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করলে ডায়াবেটিস আসার পূর্বেই তাকে শতভাগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

চিকিৎসকের সহায়তায় প্রি-ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ কারণ যেমন বিএমআই, পারিবারিক ইতিহাস, কম শারীরিক পরিশ্রম, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি, পিসিওস, বেশি ওজনের সন্তান প্রসব, জিডিএম খুঁজে বের করুন।

প্রি-ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকতে যা করবেনঃ-

খাদ্য সচেতনতাঃ

  • শর্করাবহুল খাবার যেমন চাল ও আটা দিয়ে তৈরি খাবার, মিষ্টি ফল ইত্যাদি হিসাব করে খেতে হবে।
  • আঁশবহুল খাবার যেমন ডাল, শাকসবজি, টক ফল ইত্যাদি বেশি খেতে শুরু করুন।
  • স্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন ঘি, মাখন, ডালডা কম ব্যবহার করে এর পরিবর্তে সয়াবিন, ক্যানোলা, সূর্যমুখী তেল ইত্যাদি ব্যবহার করুন।
  • বেশি পরিমাণে মাছ, চামড়া ছাড়া মুরগির মাংস খান এবং লাল মাংস কম খাওয়ার অভ্যাস করুন। এ ছাড়া ডিম সেদ্ধ ও পরিমাণমতো দুধ খাবেন।
  • চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ দিন।
  • প্রতিদিন একটি করে ভিটামিন ‘সি’জাতীয় ফল খান যেমন লেবু, আমড়া, আমলকী, জাম্বুরা ইত্যাদি।
  • সব ধরনের শাক খান।
  • কম ক্যালরি ও কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার বেছে নিন যেমন লাউ, পেঁপে, চিচিঙ্গা, ঝিঙে ইত্যাদি।
  • বর্জন করুন ফাস্ট ফুড, কোমল পানীয়, বেশি তেলে ভাজা খাবার। এগুলোর পরিবর্তে সেদ্ধ, ঝোল, ভাপা, গ্রিল করে খাবার খান।
  • রান্নায় খুব বেশি লবণ বা পাতে লবণ খাবেন না।

কায়িক পরিশ্রম ও ব্যায়ামঃ

  • সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটুন।
  • একসঙ্গে ৩০ মিনিট না পারলে ১০ মিনিট করে দিনে তিনবার হাঁটুন।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ

ওজন ঠিক রাখা প্রি-ডায়াবেটিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শরীরে ওজন বেশি থাকলে ন্যূনতম ৫ থেকে ১০ শতাংশ প্রি-ডায়াবেটিসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

ধূমপান-তামাক সেবন বন্ধ করুনঃ

ধূমপান প্রি-ডায়াবেটিসের জটিলতা বাড়িয়ে তুলবে। তামাক এড়ানোর মাধ্যমে প্রি-ডায়াবেটিস হওয়ার জটিলতা প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব।

প্রি-ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুষম খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম ও শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন। অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেওয়া থেকে বিরত হবে।অর্থাৎ শৃঙ্খলাযুক্ত জীবন পরিচালনাই ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকার অন্যতম উপায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X