রিসোর্টে বনভোজনঃ খাবার খেয়ে অসুস্থ ৩ শতাধিক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা ভিলেজ হোলিডে রিসোর্টে বনভোজনে গিয়ে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিন শতাধিক মানুষ। অসুস্থ হওয়া সবাই নোয়াখালী চাটখিলের কড়িহাটি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে। অসুস্থদের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
নোয়াখালী চাটখিলের কড়িহাটি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন রয়েছে। মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্টে শুক্রবার সংগঠনটির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠান ছিল। ২০টি মাইক্রোবাস, ৪টি বাস ও একটি মিনি বাসে করে সাড়ে ৩ শতাধিক মানুষ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সকাল সাড়ে আটটার সময় তারা রিসোর্টে গিয়ে পৌঁছান। খাবারের ব্যাপারে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি ছিল। তারা সকাল-বিকেলের নাস্তা ও দুপুরের খাবারে আয়োজন করেছিল। সকালের নাস্তা খাওয়ার পরে সবাই মোটামুটি সুস্থ ছিলেন, কিন্তু দুপুরের খাবারের পর কিছু লোকের পেটে সমস্যা শুরু হয়। এর পর মোটামুটি সবাই কম-বেশি অসুস্থ হতে থাকেন।
জানা যায়, দুপুরের খাবারের মেনুতে ভাত, গরুর মাংস, মুরগির রোস্ট এবং সবজি ছিল। অসুস্থ ব্যক্তি ও তাদের স্বজনদের ধারণা- গরুর মাংস বাসি অথবা পঁচা ছিল, কারণ খাওয়ার সময় সেটি থেকে গন্ধ বের হচ্ছিল। সন্ধ্যায় নাস্তা দেওয়া হয়েছিল দুই রকমের পিঠা। এ সব খাবার খাওয়ার পর একের পর এক মানুষ অসুস্থ হতে থাকেন। অসুস্থ ১৫-২০ জনকে স্থানীয় হাসপাতাল এবং ২০০ জনকে ঢাকা সহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কারও কারও অবস্থা এমন যে, তারা সোজা হয়ে উঠতে পারছেন না। তাদেরকে রিসোর্টে এবং পার্শ্ববর্তী রেস্টুরেন্ট এবং মসজিদে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া খাবার খাওয়া বাকিরাও অসুস্থবোধ করছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন বলেন, আমরা সবাই অসুস্থ। কয়েকজন নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি মনে করেন।গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী সমকালকে বলেন, খবর শুনে আমরা দ্রুত ঘটনায়স্থলে ছুটে যায়। অসুস্থদের