November 8, 2024
গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ

গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ

গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ

গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ

“বলতে পারেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তো অনেক আগেই মরে গেছে, তাহলে গুম হলো কিভাবে?  না; না; আপনার ধারণা ভুল একেবারেই ভুল। এখন গুম এত বেশি বেড়ে গেছে জীবিত কাউকে গুম করেই ঠান্ডা হচ্ছে না গুমের কারিগরগণ। এখন তারা জীবিত, মৃত, মূর্তি সকল কিছুই গুম করে আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত হয়। গুম এখন তাদের নিত্য নৈমিত্তিক ডাইনিং টেবিলের মজাদার খাবারের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। কারণ লাঠিটা এখন  তাদের হাতে ।  আচ্ছা যাই হোক আসি আসল কথায় । ঘটনাটা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে এসেছিল লম্বা এক রবীন্দ্রনাথ,” জি; বলছি 

ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাশ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১) প্রতীকী মূর্তিটি সরিয়ে ফেলার প্রতিবাদে ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)–সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাশে স্থাপিত পেরেকবিদ্ধ ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্য হাতে, আর মুখে ‘টেপ’ লাগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মূর্তিটি আর দেখা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার ভোরে এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কে বা কারা মূর্তিটি সরিয়েছে তার জানা যায়নি।

সরিয়ে ফেলার প্রতিবাদে সেখানে ‘গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ’ এমন লেখা সম্বলিত ব্যানার টানানো হয়েছে।

মুক্তচিন্তা, সৃজনশীলতা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর সেন্সরশিপ এবং সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছিল।

যেখানে রবীন্দ্রনাথের উচ্চতা ছিল সাড়ে ১৯ ফুট। বাঁশ, থার্মোকল ও বইয়ের কাগজ দিয়ে এটি তৈরি করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের একদল শিক্ষার্থী। এমন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরাও। লেখক, শিল্পী ও সাংবাদিকসহ দেশের সব পর্যায়ের মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশে বাধার প্রতিবাদে নির্মিত মূর্তিটি চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে রাজু ভাস্কর্যের পাশে রাখার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

মূর্তি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও চারুকলার ভাস্কর্য বিভাগের ছাত্র শিমুল কুম্ভকার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে মূর্তিটি দেখতে পাচ্ছি না। আসলে ভাস্কর্যটি গুম করে ফেলা হয়েছে।কে বা কারা এটি সরিয়ে ফেলেছে তার বুঝতে পারছি না।’

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘একটা মূর্তির পাশে আরেকটা মূর্তি বসিয়ে এর সৌন্দর্য নষ্ট করা হয়েছে। অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে কারা এমন কাজ করছেন তা, জানার চেষ্টা করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X