November 25, 2024
রোহিঙ্গাদের সেইভ করতে বিশ্বকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবেঃ জাতিসংঘ

রোহিঙ্গাদের সেইভ করতে বিশ্বকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবেঃ জাতিসংঘ

রোহিঙ্গাদের সেইভ করতে বিশ্বকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবেঃ জাতিসংঘ

রোহিঙ্গাদের সেইভ করতে বিশ্বকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবেঃ জাতিসংঘ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দুর্বল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘আরো দায়িত্বশীল হওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির পরিস্থিতি তদন্তের দায়িত্বে থাকা জাতিসঙ্ঘের স্বাধীন কার্যক্রম বিশেষজ্ঞ।

জাতিসঙ্ঘের এই বিশেষ প্রতিবেদকের নাম টম অ্যান্ড্রুস। তিনি মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর সতর্ক করেছেন যে ‘বিশ্ব হাত গুটিয়ে বসে থাকলে আবারো ২০১৭ সালের পুনরাবৃত্তি হবে

ছয় বছর আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিল রোহিঙ্গা সম্প্রদায়। সামরিক দমন পীড়নে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছিল এবং দশ লাখেরও বেশি মানুষকে অন্য দেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।

টম অ্যান্ড্রুস সতর্ক করেছেন যে যারা সে সময় ‘গণহত্যা চালিয়েছিল’ তারাই এখন দেশ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষা তাদের অগ্রাধিকার নয়’।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানরা কয়েক দশক ধরে সহিংসতা, বৈষম্য এবং নিপীড়নের শিকার হয়েছে। কিন্তু ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের উত্তরে দেশটির সামরিক বাহিনী সবচেয়ে নৃশংস অভিযান শুরু করে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এই সহিংসতার ফলে আন্তর্জাতিক আইনে গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। জান্তা সমগ্র গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় এবং সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। যাদের অর্ধেক শিশু। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে এখন প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে।

সম্প্রতি মিয়ানমারে একটি অনুসন্ধান চালিয়ে ফিরেছেন অ্যান্ড্রুস। এবং নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের কাছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে তার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন।

তিনি বলেছেন, ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এখন রাখাইন রাজ্যে বসবাস করছে। এদের মধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার অস্থায়ী বন্দিশিবিরে আছে।

অ্যান্ড্রুস বলেন, ‘যারা গ্রামে বাস করছে, তাদেরও ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের নিজ গ্রামে বন্দি। তাদের কথা বলার অধিকার নেই। এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকা খুবই বেদনাদায়ক।’

জাতিসংঘের এই বিশেষ প্রতিবেদক বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বরতার জবাবদিহিতার অভাব তাদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X