পোপ ফ্রান্সিসও সমকামিদের দলের একজন
সমকামিতার মত ঘৃণ্য,জঘন্য,নোংরা,অসামাজিক,স্বাস্থ্যবিরোধী, অধার্মিক ,লম্পট আর পাপিষ্ঠদের কু অভ্যাস , জন্তু-জানোয়ারও যেই কাজ করে না এবং শুনে বমি উদ্রেককারী এহেন গর্হিত পাপ কাজকে কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি দ্বারা বৈধতার চেষ্টা করাও বড় ধরনের পাপ কাজের নামান্তর। আবার সেখনে নির্লজ্জভাবে ঈশ্বরের দোহাই দেয়াটা মোটেও শুভ ও সুন্দর হয়নি। তাই বলছি; ওহে আমার; মহান দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিগণ, তারকাগণ, খেলোয়াড়গণ আপনারা প্রয়োজনে আপনার নিজের ধর্ম , ইতিহাস ,স্বাস্থ্য বিষয়ক এবং সমাজ বিষয়ক পড়ালেখা বাড়িয়ে দিন। অন্যথায় সময়ের ঘূর্ণিপাকে দুনিয়া ও আখিরাত দুই জায়গায়ই কঠিনভাবে ধরা খেয়ে যাবেন। এবং আপনারাই হবেন পৃথিবী ধ্বংসের বড় খলনায়ক । আর লোকজন থেকে শুনতে হতে পারে “ধিক তারে শত ধিক নির্লজ্জ যেজন”।
এর আগে পর্নোগ্রাফি নিয়ে কথা বলে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। গত অক্টোবরে ভ্যাটিকান সিটিতে এক অনুষ্ঠানে অনলাইনে পর্নোগ্রাফি দেখার ঝুঁকি সম্পর্কে যাজক ও নানদের সতর্ক করে পোপ বলেন, ‘পর্নো দেখার পাপ অনেক লোকের মধ্যে আছে…এমনকি যাজক এবং নানদেরও। সেখান থেকেই শয়তান প্রবেশ করে। পরিশুদ্ধ হৃদয়ে কখনো পর্নোগ্রাফি বা অশ্লীলতা জায়গা নিতে পারে না।’এবার সেই গুরুজিই সমকামীদের পক্ষ নিলেন । গুরুর নিকট এটি পাপও নয় অপরাধও নয়।
সমকামীদের পক্ষ নিয়ে মুখ খুললেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই ঈশ্বরের সন্তান। তাই সমকামিতা কোনো অপরাধ হতে পারে না।’
পোপ অভিভাবকদেরও বলেছেন আপনার বাচ্চারা যদি সমকামী হয় তবে তাদের সমর্থন করুন,
পোপ ফ্রান্সিস বিশপদের প্রতি সমকামী ও এলজিবিটিকিউদের অধিকার রক্ষায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গত মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) পোপ ফ্রান্সিস এসব কথা বলেন। ওই সাক্ষাৎকারের বরাতে বুধবার আল-জাজিরা জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিস আরও বলেছেন, ‘অনেক জায়গায় আইনের মাধ্যমে সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এটা মোটেও ন্যায্য নয়।’
পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘আমরা সবাই ঈশ্বরের সন্তান। আর ঈশ্বর তাঁর প্রত্যেক সন্তানকেই সমান ভালোবাসেন। তাই সমকামিতা কোনোভাবেই অপরাধ হতে পারে না।’
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের যেসব ক্যাথলিক বিশপ সমকামীদের বিরুদ্ধে প্রণীত বিভিন্ন আইন সমর্থন করেন, তাঁদের উদ্দেশে পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, এলজিবিটিকিউদেরও চার্চে স্বাগত জানান।
উল্লেখ্য, মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান ডিগনিটি ট্রাস্টের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৬৭টি দেশে আইন করে সমকামিতাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি দেশে সমকামিতার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।