চিপ যুদ্ধঃ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নতুন সেই আধিপত্যের জন্য লড়াই করছে
‘সেমিকন্ডাক্টর চিপ’ শিল্প বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যে কারণে এই শিল্পের বাজার ধরে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে অঘোষিত ‘যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধে কে কাকে পরাজিত করবে, তা দেখার জন্য চলছে তুমুল প্রতিযোগিতা। ইনসাইড ওভারের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা চললেও পাল্লা যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই ভারী।
প্রতিবেদনে চিপ মার্কেটের বর্তমান সম্পদ ৫০০ বিলিয়ন ডলারে রাখা হয়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন তার সরবরাহ চেইন নিয়ন্ত্রণ করতে মরিয়া। বলা হয় যে এটিকে যারা নিয়ন্ত্রণ করবে তারাই হবে ভবিষ্যৎ পরাশক্তি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে চীন চিপ তৈরির প্রযুক্তির মালিক হতে চায় যা এখনও মার্কিন ডোমেনেই চলছে। আর সে কারণেই প্রযুক্তির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।আর চীনও চাইবে এটি সামরিক শক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সুপার কম্পিউটারের জন্য ব্যবহার করতে। ফেদেরিকো গিউলিয়ানির প্রতিবেদনে আরও যোগ করা হয়েছে যে, ফলস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের অক্টোবরে চিপগুলির উপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। যাতে করে এ সংক্রান্ত মার্কিন প্রযুক্তির সফটওয়্যার চীনে বিক্রি অসম্ভব হয়ে পড়ে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র কোনো না কোনোভাবে তার বাজার ধরে রাখতে চায়। তারা কোনোভাবেই চীনকে এ খাত নিয়ন্ত্রণ করতে দেবে না।
এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সংঘাতের অনেক দিক রয়েছে। বিভিন্ন কূটনৈতিক বিরোধ ছিল। তবে এবার যোগ হয়েছে নতুন আরেক দিক। আর তা হলো, সিলিকনের ছোট ছোট টুকরো দিয়ে তৈরি চিপসের বাজার দখল করতে মরিয়া বিশ্বের দুটি শক্তিশালী দেশ। কিন্তু এর দখলের পেছনে শক্তিশালী কারণও রয়েছে। অর্থাৎ যে দেশ এটিকে নিয়ন্ত্রণ করবে তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সামরিক শক্তি হিসেবে ব্যবহার করবে। পৃথিবী আরেকটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। আর সেই বিষয়টি এখন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।