গ্যাসের চুলা নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র
বাইডেন প্রশাসন গোপন বিপদের ভয়ে সারা দেশে গ্যাসের চুলা ব্যবহার নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউএস কনজিউমার প্রোডাক্ট সেফটি কমিশন (সিপিএসসি) সম্প্রতি রান্নার চুলা থেকে ‘অভ্যন্তরীণ দূষণ’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংস্থাটি বলছে, গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত চুলাগুলো সাধারণত কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং সূক্ষ্ম কণার মতো দূষক পদার্থ নির্গমন করে। এসব পদার্থকে অনিরাপদ বলে বিবেচনা করে পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইপিএ) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও)।
গবেষণা অনুসারে, বৈদ্যুতিক চুলার তুলনায় গ্যাসের চুলা দ্বিগুণ পিএম ২.৫ কণা তৈরি করে, যা গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, হৃদ্রোগ এমনকি ক্যানসারের কারণও হতে পারে।
ক্লিন এনার্জির একজন বিশেষজ্ঞের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গেরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রায় ৫০ বছরের স্বাস্থ্য গবেষণায় দেখায গেছে যে, গ্যাসের চুলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ এবং এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো শিশুদের হাঁপানি।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ শতাংশেরও বেশি পরিবার গ্যাসের চুলা ব্যবহার করে। ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউ জার্সির মতো রাজ্যগুলোতে এ সংখ্যা আরও বেশি, যেখানে প্রায় ৭০ শতাংশ পরিবার গ্যাসের চুলা ব্যবহার করে।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক হেলথ-এ প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মার্কিন শিশুদের মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশের হাঁপানির জন্য গ্যাসের চুলা এবং এর বিষাক্ত ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসা দায়ী।
কোরি বুকার, ডন বেয়ার এবং এলিজাবেথ ওয়ারেনের মতো ডেমোক্রেট নেতারা ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে CPSC-কে চিঠি দিয়েছেন।
তবে গ্যাসের চুলা নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপের সমালোচনাও করছেন অনেকে। তারা বলছেন, বৈদ্যুতিক চুলা ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেকের জন্য এগুলো ব্যবহার করা কঠিন হবে।
2 Comments