রাশিয়ার ‘প্রোপাগান্ডা’ আমলে নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানী
বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাশিয়া যে অভিযোগ করেছে তাকে আমলে নিতে চায়না ওয়াশিংটন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র নেড প্রাইস একে ‘রুশ প্রোপ্যাগান্ডা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
২০২৩ সালের প্রথম ব্রিফিংয়ে নেড প্রাইসের সামনে সম্প্রতি বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের হয়রানি হওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন এক সাংবাদিক। ওই ঘটনার পর রাশিয়া অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। পিটার হাসের হয়রানি হওয়ার ঘটনাটিও তার কূটনীতিক কার্যকলাপের কারণেই হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মার্কিন মুখপাত্র বলেন, দেখুন, আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে এই বিষয়ে যা শুনেছি তা আমি আমলে নিচ্ছি না। আপনি জানেন, আমরা সাধারণত এ ধরনের প্রোপ্যাগান্ডাকে গুরুত্ব দেই না।
মুখপাত্র আরো বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি। আমরা বাংলাদেশের জনগণের মতপ্রকাশ, সমবেত হওয়া এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান ও রক্ষা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। এসব আহ্বানের কথা আমার কাছ থেকে শুনেছেন, এই দপ্তর থেকে শুনেছেন এবং বাংলাদেশে আমাদের রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকেও শুনেছেন।
ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করার সময় একজন সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশের বিরোধী দলের চেয়ারপারসন দীর্ঘদিন ধরেই গৃহবন্দী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিরোধী দলের মহাসচিব সহ হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র কি তাদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানাবে? জবাবে মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “আমরা বাংলাদেশের সব পক্ষকে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা, সহিংসতা, হয়রানি, ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।” কোনো দল বা প্রার্থী যেন অন্য দল বা প্রার্থীর বিরুদ্ধে হুমকি, উসকানি বা সহিংসতা সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। নেড প্রাইস যোগ করেছেন যে, প্রকৃত নির্বাচনে, সমস্ত প্রার্থীদের কোনো প্রকার সহিংসতা, হয়রানি বা ভয়ভীতি ছাড়াই ভোটারদের সাথে যুক্ত হতে সক্ষম হতে হবে। যখন সহিংসতা, হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন, নির্বিচারে আটকের খবর পাওয়া যায়, তখন আমরা সরকারকে সেই প্রতিবেদনগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে, স্বচ্ছভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করার এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করার জন্য আহ্বান জানাই।