মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
চার বছর আগে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার মামলার আরও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ছয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এদের মধ্যে ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যক্তির সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন তিনজন সাক্ষী। এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আরও তদন্তের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আদালত আরও তদন্তের নির্দেশ দেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু আদালতে আবেদন করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল্লাহ আবু বলেন, তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যে ইশতিয়াক নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। এ জন্য তিনি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অধিকতর তদন্তের অনুরোধ জানান। তাই আদালত আরও তদন্তের নির্দেশ দেন।
২০১৮ সালের ৪আগস্ট রাতে, মার্শা বার্নিকাট মোহাম্মদপুর এলাকায় সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতে নৈশভোজে অংশ নেন। রাত ১১টার দিকে ডিনার শেষে ফেরার পথে একদল সশস্ত্র মোটরসাইকেল আরোহী রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দলের দুই সদস্যকে ঘুষি মারেন যখন তারা কনভয়ের কাছে যাওয়ার সময় তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। । হামলাকারীরা গাড়িবহর চলে যাওয়ার সময় দুটি গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনায় সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে গত বছরের ৫ মার্চ ঢাকার সিএমএম আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন বার্নিকাট। সেখানে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র রয়েছে এমন সন্দেহে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এটিকে পুলিশের পক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র বলাকে; মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করেন বদিউল আলম।
অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের সন্দেহে ওই দিন ছাত্রলীগের নেতা নাইমুল হাসানের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের একদল নেতাকর্মী ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়ি ধাওয়া দিলে তিনি ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়, বাড়ির জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়। বদিউল আলম মজুমদার, তার স্ত্রী ও সন্তানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।