চীনে করোনা রোগীতে পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালগুলো: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
দিনদিন চীনে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, দেশটিতে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এরই মধ্যে হাসপাতালগুলো অনেকটাই পরিপূর্ণ হয়ে গেছে রোগীতে। একই সঙ্গে করোনার প্রকৃত চিত্র জানাতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচওর জরুরি কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ও করোনার আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা দলের প্রধান ডা. মাইকেল রায়ান বলেছেন, ‘হাসপাতালগুলোতে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) খালি নেই। যদিও কর্মকর্তারা বলছেন, সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। চীনের পরিসংখ্যান বলছে, বুধবার করোনায় কেউ মারা যায়নি। তবে পরিস্থিতি আসলে কী তা পরিস্কার নয়।’
ডা. রায়ান বলেন, ‘চীন সরকার আইসিইউতে তুলনামূলকভাবে কমসংখ্যক রোগী ভর্তি আছে- এমনটা দাবি করলেও আসলে আইসিইউগুলো ভরে যাচ্ছে। করোনা রোধের অন্যতম প্রধান উপায় হলো, টিকা নেওয়া।
জেনেভায় এক সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, তিনি চীনের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। রোগের ভয়াবহতা, হাসপাতালে ভর্তি এবং আইসিইউর নির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছেন তিনি।
চীন তার নিজস্ব ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, যা বিশ্বের অনেক দেশে ব্যবহূত ভ্যাকসিনের তুলনায় খুবই কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, চীনের বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বুধবার জার্মান সরকার জানিয়েছে, তাদের তৈরি বায়োএনটেকের করোনার টিকার প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে চীনে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজকে এ পদক্ষেপে স্বাগত জানিয়েছেন। এটিই চীনে বিদেশি কোনো করোনার টিকা।
দীর্ঘদিনের লকডাউন প্রত্যাহারের পর থেকেই সংক্রমণ বাড়ছে চীনে। বিশেষ করে দুর্বল ও বয়স্কদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেড়েছে। সরকারি হিসাবে চলতি সপ্তাহে সাতজনসহ দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ২০০ জন।