November 23, 2024
ক্ষুধায় কাঁদছিল মেয়ে, টাকা না থাকায় হত্যা করেছি, সরল স্বীকারোক্তি ইঞ্জিনিয়ার বাবার

ক্ষুধায় কাঁদছিল মেয়ে, টাকা না থাকায় হত্যা করেছি, সরল স্বীকারোক্তি ইঞ্জিনিয়ার বাবার

ক্ষুধায় কাঁদছিল মেয়ে, টাকা না থাকায় হত্যা করেছি, সরল স্বীকারোক্তি ইঞ্জিনিয়ার বাবার

ক্ষুধায় কাঁদছিল মেয়ে, টাকা না থাকায় হত্যা করেছি, সরল স্বীকারোক্তি ইঞ্জিনিয়ার বাবার

ভারতে আড়াই বছরের আপন শিশুকন্যাকে হত্যার দায়ে রাহুল পারামার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রাহুল পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। তবে নিজের মেয়েকে হত্যা করার যে কারণ তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তা রীতিমতো হৃদয়বিদারক। যদিও তার বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিতে তদন্ত করছে পুলিশ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে। রাহুল জানান, একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি। সম্প্রতি সে চাকরি হারান। বিটকয়েনে বিনিয়োগ করেও বড় লোকসানের মুখে পড়েন তিনি। ধারদেনা মেটাতে স্ত্রীর সব গহনা বিক্রি করে রীতিমতো পথে বসে গেছেন রাহুল। এদিকে, পাওনাদাররাও দিনরাত অর্থ পরিশোধের জন্য তাগাদা দিয়ে আসছিলেন। এরই জেরে নিজে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল।

এর জেরে গত ১৫ নভেম্বর আড়াই বছর বয়সী মেয়ে জিয়াকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার নাম করে নিজের গাড়ি নিয়ে বের হন রাহুল। বিভিন্ন স্থানে আত্মহত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। এর মধ্যে মেয়ে ক্ষুধায় কান্নাকাটি করলে পকেটে থাকা অল্প কিছু টাকা দিয়ে তাকে বিস্কুট ও চকলেট কিনে দেন। গাড়ির মধ্যে মেয়ের সাথে কিছুক্ষণ খেলাও করেন রাহুল। তবে এর কিছুক্ষণ পরই মেয়ে আবারও ক্ষুধায় কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে বুকের মধ্যে জোরে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি।

রাহুল জানান, মেয়েকে হত্যার পর তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন। তারপর মেয়েটির লাশ নিয়ে একটি সেতু থেকে লাফ দেন। কিন্তু সেখানে পানির গভীরতা কম থাকায় প্রাণে বেঁচে যান রাহুল। কিন্তু মেয়ের লাশ সেখানে ফেলে রেললাইনে আত্মহত্যা করতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও সাহস জোগাড় করতে পারেননি। পরে ট্রেনে চড়ে তামিলনাড়ু চলে যান। তবে এই দাবি কতটা সত্য তা খতিয়ে দেখছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। এরই মধ্যে সেতুর নিচ থেকে শিশু মেয়ে জিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X